বরিশালের আগৈলঝাড়ায় উপজেলার রতœপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দালিখ মাদ্রাসা ছাত্র ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষার্থীকে ২২ জানুয়ারি রাত ৮টায় তার উপর হামলা ও মারধর করে গুরুতর আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের আহতকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিকরে। আহত পরীক্ষার্থী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন রয়েছে। এ ঘটনায় আহতর ভাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। বিলম্ব স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার রতœপুর ইউনিয়নের মোহনকাঠী গ্রামের মোসিন তালুকদারের ছেলে নুর আলম তালুকদারের সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে একই উপজেলার বারহাজার গ্রামের মো. নজরুল তালুকদারের সাথে। এই বিরোধের জের ধরে গত ২২ জানুয়ারি দুপুরে উভয় পক্ষের মধ্যে ঝগড়া-ঝাটি (বাকবিতান্ড) হয়। এঘটনার জের ধরে একইদিন রাত ৮টায় মো.নজরুল তালুকদারের ছেলে বারহাজার দাখিল মাদ্রাসার ২০২৪ সালের আলিম পরীক্ষার্থী মো. ইমন তালুকদারকে রতœপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশ্রাফ মীর তাকে মারধর করে আহত করে। এ সময় সৈয়দ আশ্রাফ মীরের সাথে থাকা ৫-৬ জনের একটি দল ইমন তালুকদারে উপরে হামলাচালিয়ে মারধর করে করে গুরুতর আহত করে আট করে রাখে। ইমন তালুকদারের ভাই ইমরান ইসলাম তালুকদার ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের এসআই শফিউদ্দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমন তালুকদারকে উদ্ধার করে। এ সময় হামলাকারীদের ব্যবহৃত একটি মটরসাইকেল পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের সহয়তায় ইমন তালুকদারকে ওই রাতেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আহতর ভাই ইমরান ইসলাম তালুকদার বাদী হয়ে ২৩ জানুয়ারি সৈয়দ আশ্রাফ মীরকে ১নং আসামি করে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। আহত মো. ইমন তালুকদার বলেন, উপজেলার রতœপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশ্রাফ মীর ও তার সাথে থাকা লোকজন আমাকে মারধর করে আহত করে। আহতের ভাই ইমরান ইসলাম তালুকদার বলেন, আমার ভাই ইমন তালুকদারকে রতœপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশ্রাফ মীর ও তার লোকজন মারধরকরে আটক করে রাখে। আমি তখন ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিলে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশের এসআই শফিউদ্দিন আমার ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিকরে। তার পরে আমি সৈয়দ আশ্রাফ মীরকে প্রধান আসামি করে আগৈলঝাড়া থানায় এশটি অভিযোগ দিয়েছি। এ ঘটনায় অভিযুক্ত রতœপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশ্রাফ মীর বলেন, দু-পক্ষের বিরোধ মীমাংশার জন্য আমি ইমনকে ডাক দিলে সে আমরা সাথে খারাপ ভাষা ব্যাবহার করে। তারপরে আমি তাকে ৪-৫টি চর-থাপ্পর দিয়েছি। এ সময় ইমন মাটিতে পরে গিয়ে পায়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছে। এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মুহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে থানা থেকে এসআই শফিউদ্দিনকেসহ ফোর্স পাঠিয়ে ইমন তালুকদারকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তিকরা হয়। এ সময় একটি মটরসাইকেল আটক করা হয়েছে। আহত ইমনের ভাই ইমরান তালুকদার বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে মামলার প্রস্তুতি চলছে।