সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুরে বিরল প্রজাতির কালোমুখো হনুমান এখন গাছে গাছে লাফিয়ে বেড়াচ্ছে। হনুমান ছুটছে বাসাবাড়িতে, কখনও গাছের ডালে। হনুমানটি খাদ্যের অভাবে দলছুট হয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলায় চলে এসেছে বলে জানা গেছে। বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর বাজারে ওই হনুমানটি দেখা যায়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, খাবারের সন্ধানে কালোমুখো হনুমান ছুটছে বাসাবাড়ি, কখনও গাছের ডালে। হনুমানটির পিঠ ও দেহের ওপরের লোম গাঢ় ধূসর বাদামি। বুক, পেট ও দেহের নিচ লালচে বাদামি এবং সোনালি রঙের। লোমবিহীন মুখম-ল, হাত ও পায়ের পাতা কুচকুচে কালো। মাথায় টুপি পরে রয়েছে মনে হচ্ছে। লাফিয়ে চলার সময় হনুমানটি দুষ্টুমি করে পথের ধারে রাখা জিনিসপত্র ফেলে দিচ্ছে। কেউ কলা ও রুটি দিয়ে আপ্যায়ন করলে তা সাদরে গ্রহণ করছে হমুমানটি। হনুমানটি দেখতে এসে স্থানীয় ধুলিহর-ব্রহ্মরাজপুর গার্লস হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষক অরুণ কুমার মন্ডল বলেন, হনুমানটি এ গ্রামে এসেই বিভিন্ন ক্ষেতের ওলকপি, গাছের পেঁপে, গাজর, টমেটোসহ বিভিন্ন গাছের ফল খাচ্ছে। কিছু যুবক হনুমানটিকে লক্ষ্য করে ঢিল ছুড়তে থাকে। এ সময় হনুমানটিকে ওই স্কুলের মূল ফটকের উপর বসে থাকতে দেখা যায়। একই কথা বলেন স্থানীয় ব্রহ্মরাজপুর বাজারের ব্যবসায়ী রবিন্দ্র কর্মকার ও সাবেক ইউপি সদস্য নিরঞ্জন ঘোষ। একটি পাউরুটি দিলে তা নিয়ে খেয়ে নেয় হনুমানটি। এ বিষয়ে প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্র জানায়, একসময় যশোরের কেশবপুর অঞ্চলে প্রচুর কালোমুখো বড় প্রজাতির হনুমানের দেখা যেত। কিছু হনুমান খাদ্যোর অভাবে দলছুট হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাচ্ছে। আকার আকৃতিতে মনে হচ্ছে এ প্রজাতির হনুমান বর্তমানে বিলুপ্তির পথে। এটি একটি বিরল প্রজাতির মুখকালো হনুমান।