ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ড্রেজার দিয়ে কৃষি জমি ধ্বংসের অভিযোগে সাবেক ইউপি সদস্য ঝিনু মিয়াকে (৫২) অর্ধ লাখ টাকা অর্থদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গত বুধবার বিকেলে উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর এলাকার ফসলি মাঠে এই অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ৪ সদস্যের ওই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে থাকা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপাদান সমূহ ও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সরাইলের ধর্মতীর্থ এলাকার আকাশী হাওর আশপাশের এলাকায়, শাহজাদাপুরের নিয়ামতপুর, ধাউরিয়া ও মলাইশে তিতাস নদীর পাড়ে, পানিশ্বর এলাকায় সিন্ডিকেট করে ড্রেজার/ বেকুর সাহায্যে ফসলি জমি ধ্বংস করে মাটি বিক্রির ব্যবসা করছে একটি চক্র। স্থানীয় সাধারণ কৃষকরা ওই সিন্ডিকেটের কৌশল ও দাপুটের কাছে একেবারেই অসহায়। গত বুধবার বিকেলে কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর এলাকায় অভিযান চালান সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা। সেখানে তিনি পরিবেশ বিরোধী ড্রেজার দিয়ে ফসলি জমির মাটি কাটা হাতেনাতে ধরে ফেলেন। ঘটনাস্থল থেকে দ্রƒত সটকে পড়তে থাকেন ড্রেজারে মাটি কাটার ব্যবসায়ি সিন্ডিকেটের সদস্যরা। তবে একজন ব্যবসায়ি সাবেক ইউপি সদস্য ঝিনু মিয়াকে পেয়ে যান এসি ল্যান্ড। ড্রেজারের সাহায্যে ফসলি জমির মাটি কাটার দায় স্বীকার করেন ঝিনু মিয়া। সিন্ডিকেটের অন্য সদস্যরা আর কাছেও আসেননি। পরে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাছরিন সুলতানা ঝিনু মিয়াকে অর্ধলাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। সেই সাথে ওই সিন্ডিকেটের হেফাজতে থাকা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর উপাদান সমূহও ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবাউল আলম ভূঁইয়া ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাছরিন সুলতানা বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ড্রেজার ও বেকুর দ্বারা ফসলি জমি বা জমির টপসয়েল কাটা, অনুমতি ছাড়া মনগড়া মত পুকুর ভরাট করে ফেলার কোন বিধান নেই। কৃষি জমি ধ্বংস ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর সকল কাজের বিরূদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।