রাজশাহী পুঠিয়ায় বানেশ্বর বাজারে প্রকাশ্যে সার কীটনাশকের দোকানে দেশীয়অস্ত্র দিয়ে হামলা চলানোর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ দেওয়ার একদিন ঘন্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও থানা পুলিশ কাউকে আটক করেননি বলে ভুক্তভোগি অভিযোগ তুলেছেন। এই নিয়ে ভুক্তভোগি সার ব্যবসায়ী এবং বানেশ্বর বাজারের ব্যবসায়ীরা শংকিত হয়ে পড়েছেন। থানার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বানেশ্বর ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান বানেশ্বর ইজারাদার আবদুল কালাম আজাদ(ডিস) কালামের নিদের্শে তার ছেলে জুয়েল নেতৃত্ব বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায়। বানেশ্বর বাজার বণিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক এবং সার ব্যবসায়ী আলহাজ¦ ওসমান আলী দোকানে গিয়ে ৩০ হতে ৪০ জন কিশোরগ্যাং হামলা চালায়। সে বলেন আমার নিকট তারা পাচঁ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে এবং দোকান ভাংচুর করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। আমার নিকট জোরপূর্বক ১ লাখ টাকা ছিনিয়েছে। আমি অতীতে বানেশ্বর বাজারে দীর্ঘদিন ইজারাদারের দায়িত্ব পালন করে ছিলাম। দোকান ভাংচুর করে যাওয়ার সময়ে জুয়েল বলেছে আগামীতে আমি যেন বানেশ্বর বাজার ইজারাদার না নেয়। বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দোকানে হামলা করার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল ১১ হতে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দোকানপাট বন্ধ করে রাখে ছিলেন ব্যবসায়ীরা। আজ দুপুর ৩টায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছেন ব্যবসায়ীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দোকানদারা বলেন, অভিযোগ দেওয়ার পরও থানা পুলিশ কোনো আসামীকে আটক করেননি। আমরা পরিস্কার বুঝতে পারছি সন্ত্রাসী কালাম গ্রুপের সঙ্গে থানা পুলিশের ভালো সর্ম্পক রয়েছে। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে বাজারে ঘুরলো আর তাদের কিছুই হচ্ছে না। এই নিয়ে আমরা ব্যবসায়ীরা শংকিত হয়ে পড়েছি। অপরদিকে সারের দোকানে হামলা করার পর কিশোরগ্যাং গ্রুপটি বানেশ্বর শহীদ নাদের আলী স্কুল এ- কলেজের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবুর বাড়িতে হামলা চালায়ে ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসীরা বলছেন, কিশোরগ্যাংটি তৎপরতা এই মুহুূর্তে বন্ধ না করতে পারলে আগামীতে এলাকায় মানুষ বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে। কালামের ছেলের বিরুদ্ধে অস্ত্রসহ আটক করার মামলা রয়েছে। তারা চিহ্নিত মাদক কারবারি। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, বুধবার রাতে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বানেশ্বর বাজার আমার লোকদের তদন্ত করতে পাঠায়েছি। তারা রির্পোট দিলে মামলা করা হবে।