পুঠিয়ায় বানেশ্বর হাটের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একটি বাড়িতে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ দেওয়ার দুইদিন অতিবাহিত হওয়ার পরও থানা পুলিশ ঘটনাটি মামলা হিসাবে গ্রহন করছে না। এতে করে ভুক্তভোগি পরিবারটি চড়ম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। বানেশ্বর হাট এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করার জন্য বেশকিছু দিন ধরে দুইপক্ষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে হঠাৎ একটি কিশোরগ্যাং গ্রুপ মাথা চাড়া দিয়েছে। বুধবার বিকেলে বানেশ্বর বাজার বণিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক এবং সার ব্যবসায়ী ওসমান আলী দোকানে ৩০/৪০ জন কিশোরগ্যাং হামলা চালায়ে চাঁদা দাবি করে। সার ব্যবসায়ী ওসমান আলী দোকানে হামলা চলানো আগে ওই গ্রুপটি বানেশ্বর শহীদ নাদের আলী বালিকা বিদ্যালয় এ- কলেজের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবুর বাড়িতে হামলা ভাংচুর করে এসেছিল। শহীদ নাদের আলী বালিকা বিদ্যালয় এ- কলেজের সভাপতি মাহাবুব আলম বাবু বলেন,আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এরপর আমার বাড়িতে থাকা মূল্যেবান জিনিসপত্র লুটপাট ভাংচুর করেছে। হামলা ভাংচুরের ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রয়েছে। আমি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে পুঠিয়া থানায় একটি এজাহার করে ছিলাম। একটি প্রভাবশালী ব্যক্তি নিষেধ করায় থানা পুলিশ মামলা হিসাবে গ্রহন করেনি। তাই আমি এবং আমার পরিবার চড়ম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমাকে যে কোনো মাদকবারবারি কিশোরগ্যাংটি মেরে ফেলতে পারে। এলাকাবাসীরা বলছেন,কিশোরগ্যাংটি তৎপরতা এই মুহুূর্তে বন্ধ না করতে পারলে আগামীতে এলাকায় মানুষ বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে। এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, আমি কেন মামলা গ্রহন করবো না। ইতোমধ্যে তদন্তের জন্য একজনকে দেওয়া হয়েছে।