বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক নবম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীকে বুকে লাথিমেরে আহত করায় শিক্ষকের বিচার দাবিকে বিদ্যালয়ে হলরুমে পরিচালনা কমিটির সভাপতি জগদীশ ভক্তের সভাপতিত্বে বিদ্যালয়ে পরিচালনা কমিটির সদস্য, ছাত্র অভিভাবগ ও এলাকাবাসী শনিবার রাতে বিদ্যালয়ে এক সভা করেছে। সভায় ৫ সদস্যর একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই সভায় শিক্ষার্থী জিৎ মল্লিকের উপর শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধরের নির্যাতনের ঘঁনার সত্যতা পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে বরিবার শোকজ নোটিশদিয়েছে বিদ্যায় কতৃপক্ষ। স্থানীয় ও সভা সূত্রে জানাগেছে, সভায় অভিযুক্ত শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর শিক্ষার্থীর সাথে ঘটে যাওয়া অনাকাঙ্খিত ঘটনা দাবী করে ঘটনার জন্য সকলের সামনে দুঃখ প্রকাশ করেন। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন আহত শিক্ষার্থী জিৎ মল্লিকের মেশো পুলিন জয়ধর। এ সময় উপস্থিত ক্ষুব্ধ অভিভাবকসহ সকলে শিক্ষকের বিচার দাবী করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন বাড়ৈ, ইউপি সদস্য রনজিত ভক্ত, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য দীলিপ তালুকদার, মন্টু শিকদার, স্বপন পান্ডে, শিক্ষার্থীর অভিভাবক বীরেন বৈদ্য, মো.হাফিজুর রহমান, নীল রতন মন্ডল প্রমুখ। পরিচালনা কমিটির সভাপতি জগদীশ ভক্ত জানায়, ওই সভায় সকলের সিদ্বান্ত মোতাবেক অভিযুক্ত শিক্ষককে এঘটনার জন্য কারণ দর্শানোর নোঠিশ দেওয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শিক্ষক তিন কর্মদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোঠিশের জবাব দিবেন। এ ঘটনায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো.মাহাবুবুর রহমানকে প্রধান করে ৫ সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী ৫দিনের মধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সত্য রঞ্জন বাড়ৈ সাংবাদিকদের বলেন, সভায় উপস্থিত সকলের সিদ্বান্ত অনুযায়ী অভিযুক্ত শিক্ষককে রোববার কারণ দর্শানোর(শোকজ) নোঠিশ দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমাকে ফোন দিয়ে জানিয়েছে ওই ঘঁনায় আমাকে প্রধানকরে একটি সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, উপজেলার বাহাদুরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রশান্ত কুমার জয়ধর নবম শ্রেণীর ক্লাশে গিয়ে শিক্ষার্থী জিৎ মল্লিককে বুকের উপর লাথি দেন।