আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৎসাহসীকতায়, রাজনৈতিক দূরদর্শিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির পর পাহাড়ে দীর্ঘ দুইদশকের ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধসহ এই অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা।আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রাঙ্গামাটি পৌরসভা মাঠে আয়োজিত সংবর্ধনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপির সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক হাজী মো: মুছা মাতব্বরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, বৃষ কেতু চাকমা, সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু নারী নেত্রী শীলা রায়, রাঙ্গামাটি পৌরসভা মেয়র জেলা যুবলীগ সভাপতি মো: আকবর হোসেন চৌধুরী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শহীদুজ্জামান মহসিন রোমান, বাঘাইছড়ি পৌরসভা মেয়র মো: জমির হোসেনসহ জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিভিন্ন উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বিগত সময়ে পার্বত্য এলাকায় ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব কিছু করা হয়েছে। যেসমস্ত কাজ এখনো সমাপ্ত হয়নি তা সমাপ্ত করা হবে। বঙ্গবন্ধুর যে স্বপ্ন তা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আগে আরো অনেকেই সরকার গঠন করেছে, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে পার্বত্য এলাকায় চলমান সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ফিরাতে পারেনি। বিএনপি-জামাত পাহাড়ের দীর্ঘ দুই দশকের সমস্যা ও ভাতৃঘাতি এই সংঘাত বন্ধ করার কোন উদ্যোগ না নিয়ে তা জিইয়ে রেখেছিল। আওয়ামী লীগ সরকার দেশের মানুষের কথা ভাবে, দেশের শান্তির কথা ভাবে বলে পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সংঘাত বন্ধ করতে পেরেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি সম্প্রীতি ও উন্নয়নের যে ধারা শুরু হয়েছে তা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করাসহ আগামী ৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে পরিনত করার এটাই একমাত্র লক্ষ্য আওয়ামী লীগ সরকারে।
অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগি সংগঠনসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।