দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নিবার্চনের পর এবার সংরক্ষিত আসনের প্রাথীদের নিয়ে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে কাজ করার পাশাপাশি নারীদের উন্নয়নে বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে মাদারীপুর থেকে জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন চান বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ মাদারীপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নারীনেত্রী নারগিস আক্তার।
এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে মাদারীপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোসা. নারগিস আক্তার। মাদারীপুরে সর্বস্তরের জনগণ তাকে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য হিসেবে দেখতে চায়। অনেক আগে থেকেই তিনি নানা সামাজিক কাজ করে আসছেন।
তিনি মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।
বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ মাদারীপুর জেলা কমিটির সভাপতি নারগিস আক্তার মাটি ও মানুষের টানে নিজ জেলা মাদারীপুরবাসীর জন্য ভালো কিছু করার অভিপ্রায়ে নারীনেত্রী হিসেবে রাজনীতিতে আসেন। নারী উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছেন দীর্ঘদিন ধরে। বর্তমানে এই নারীনেত্রী মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত আসনে মাদারীপুর থেকে মনোনয়ন চাওয়া বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ মাদারীপুর জেলা কমিটির সভাপতি ও মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নারগিস আক্তার বলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে মাদারীপুর সদর উপজেলা সহ সমগ্র মাদারীপুর জেলার নারীদের শিক্ষা ও জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে আমি কাজ করেছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বাংলাদেশ যুব মহিলালীগ মাদারীপুর জেলা কমিটির সভাপতি পদে স্থান দিয়ে যে দ্বায়িত্ব দিয়েছেন সেই অবস্থানে থেকে মাদারীপুর জেলার জন্য বিশেষ করে এখানকার নারীদের জন্য কিছু করে যেতে চাই। বিগত সংসদ নির্বাচনের পূর্ব থেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ও সংগঠনের সিদ্ধান্তে আমি এই মাদারীপুর জেলার ৩টি সংসদীয় আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থীদের পক্ষে প্রচার প্রচারণায় অংশ নিয়েছি।
মোসাঃ নারগিস আক্তার, পিতা মো. কালু বেপারী ও মাতা ফরিদা বেগম। স্বামী কাজী সারোয়ার হোসেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছিলেন। ২০০২ সালে চাকুরী শেষে ব্যবসা শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০১২ সালে আমেরিকা পাড়ি জমান। ১৯৭২ সালের ২৭ জানুয়ারী সদর উপজেলার ঝিকরহাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পারিবারিক জীবনে দুই সন্তানের জননী। ছেলে তারিক হাসান (সাব্বির) মাদারীপুর সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে অধ্যয়নরত এবং মেয়ে শাওন আহসান ২০১৩ সাল হতে স্বামী আহসান হাবিবসহ আমেরিকায় উন্নত জীবনযাপন করেন।
নারগিস আক্তার বলেন, সদ্য সমাপ্ত জাতীয় নির্বাচনে মাদারীপুর-১ আসনের শিবচর, মাদারীপুর-২ আসনের সদর, রাজৈর উপজেলা এবং মাদারীপুর-৩ আসনের বালকিনি ও ডাসার উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে আমার মনে হয়েছে এখানে আমাদের মা বোনেরা নানামুখী চাপের ভেতর বসবাস করছেন। আমার মনে হয় এসব নারীদের কাছে সরকারের উন্নয়ন ও পরিকল্পনার বার্তা পৌঁছে দিতে যুবমহিলা লীগের নেতা-কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়ার বিষয়ে প্রশ্নের উত্তরে নারগিস আক্তার বলেন, 'ছাত্রজীবন হতে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। আমার পুরো পরিবার মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের রাজনীতির সাথে যুক্ত। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কখনো কারো সঙ্গে আপস করেননি। আমি সংরক্ষিত আসনে দলের মনোনয়ন চাইবো। নেত্রী যদি সুযোগ দেন, দেশ-জাতির জন্য কাজ করতে চাই। নারী উদ্যোক্তা হিসাবে দেশের নারী সমাজকে এগিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছি। মাদারীপুর জেলা যুবমহিলা লীগকে সংগঠিত করা এবং যুব মহিলাদের দলের প্রতি উদ্বুদ্ধ করাসহ বিভিন্ন কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। নেত্রী যদি এমপি হিসাবে মনোনীত করেন ভবিষ্যতে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করতে পারব।
মাদারীপুর সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন এলাকায় শীতার্থ মানুষদের কম্বল বিতরণ করেছি। অসহায় ও হত-দরিদ্র মানুষদের পাশে সাহায্য নিয়ে দাঁড়িয়েছি। এলাকার মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ সাধ্যমত সহযোগিতা করেছি এবং রাস্তা মেরামত সহ বিভিন্নভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করেছি।