ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কেশরগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে কলমদারি নদ। দখলদাররা যে যার তাঁর মতো দখল করে বিভিন্ন ফসল আবাদ করছে। আর স্থাপনা তৈরীতে চলছে নদীর পাড় ভরাট। গত ক’দিন ধরে কেশরগঞ্জ বাজার টু শিবগঞ্জ সড়কের পাশে রাতের আঁধারে নদী ভরাট করছে স্থানীয় প্রভাবশালী জনৈক আঃ রহিম মাস্টার। নদীর ভিতরের নিম্ন ভুমি আটকিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করে তা উঁচু করছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখাযায়, কেশরগঞ্জ বাজারের উত্তরে পাশে বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলে নদী দূষণ করা হচ্ছে।
ময়লার স্তপে বুঝা যাচ্ছে এটি যেনো স্থায়ী ময়লার ভাগাড়। ফসল আবাদের সুবিধার্থে ভিটি উঁচু করার নামে নদী সীমানার পতিত জমি দখল করে নিচ্ছেন অনেকেই। বাশের শক্ত প্রাচীর (বেষ্টনী) তৈরী করে নদীর নিচ থেকে ভরাট করা হচ্ছে। স্থাপনা তৈরী করতে উঁচু ভিটা বেঁধে আবার মাটি সমান করা হচ্ছে।
জানাগেছে, স্থানীয় প্রশাসন নদী ভরাট করতে নিষেধ করলেও প্রভাবশালী আঃ রহিম মাস্টার জমি রাতের আঁধারে ড্রাম ট্রাক দিয়ে মাটি ফেলে ভরাট করছে। স্থানীয়রা এ নিয়ে কথা বললেও তিনি ভ্রুক্ষেপহীন।
আঃ মালেক জানান, দিন দিন নদী দখল ও দূষণের হার বেড়েই চলছে। নদী রক্ষায় সচেতনতা না থাকায় সম্প্রতি দখলদারের কবলে অস্তিত্ব হারাচ্ছে কলমদারি নদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই আমরা নদী এদিক দিয়েই দেখছি। নদীর পাড় ভাঙ্গন রোধে সরকারিভাবে সিসি ব্লক দেওয়ায় যায়গাটি দৃষ্টি নন্দন ও রাস্তার পাশে হওয়ায় এ ভরাট চলছে। এভাবে নদী ভরাট করা হলে বর্ষায় ৪/৫ গ্রামের গ্রামের কয়েকশ একর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী।
নদী ভরাট প্রসঙ্গে জানতে আঃ রহিম মাষ্টারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর ছেলের ভাষ্য তাঁরা তাদের রেকর্ডীয় জমি ভরাট করছেন।
নাঁওগাঁও ইউনিয়নের ভূমি উপ সহকারী গিয়াস উদ্দিন বলেন, নদী ভরাট না করতে নিষেধ করেছি। এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) কাবেরী জালাল বলেন, কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে, কাগজপত্র নিয়ে তাকে আসতে বলেছি।