বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার জাল্লা ইউনিয়নের উত্তর মুন্সিরতালুক গ্রামে সাবেত এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পল্লীচিকিৎসক শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস শনিবার রাতে সনাতন ধর্ম ও গীতা নিয়ে কটূক্তি করাতে তার বিচার ও গ্রেপ্তার দাবিতে এলাকার সনাতন ধর্মপ্রাণ মানুষ আজ রোববার সকালে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করে। রনজিৎ বাড়ৈ নামে এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন। বিক্ষুব্ধরা বলেন তাকে (শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস) গ্রেপ্তার না করা হলে সকল সনাতন ধর্মাবলম্ভিদের নিয়ে আরো কঠর মর্কসূচি দেয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, উজিরপুর উপজেলার জাল্লা ইউনিয়নের উত্তর মুন্সিরতালুক গ্রামে মৃত অনিল বিশ্বাসের ছেলে সাবেত জাল্লা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য পল্লীচিকিৎসক শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস শনিবার রাতে রনজিৎ বাড়ৈর চায়ের দোকানেবসে সনাতন ধর্ম ও গীতা নিয়ে কটূক্তি করেন। এ সময় স্থানীয় গৌরঙ্গ বিশ্বাস, বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, রনজিৎ বাড়ৈ ও সজিব মন্ডল প্রতিবাদ করলে তাদের উপরে চড়াউ হয় শুভাষ। এসয় উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাকবিতান্ড হয়। একপর্যায়ে সনাতন ধর্ম ও গীতা নিয়ে কটূক্ত্যি করার কতা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে একটি বিক্ষোভমিছিল হয়। শনিবার রাতে রনজিৎ বাড়ৈ নামে এক ব্যাক্তি বাদী হয়ে শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাসের বিরুদ্ধে উজিরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করছেন।
রোববার সকালে শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস এর বিচার ও গ্রেপ্তার দাবিতে এলাকার সনাতন ধর্মপ্রাণ মানুষ জাল্লা ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে বিক্ষোভ মিছিলটি ১৬৪ নং উত্তর মুন্সিরতালুক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এসে মিছিল শেষে একটি প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন, গৌরঙ্গ বিশ্বাস, বিধান চন্দ্র বিশ্বাস, রনজিৎ বাড়ৈ,ও সজিব মন্ডল, প্রিয়লাল বিশ্বাসসহ অনেকে। বক্তব্যরা বলেন, সনাতন ধর্ম ও গীতা নিয়ে কটুক্ত্যি কারি শুভাষকে অতিবিলম্বে গ্রেপ্তার করতে হবে। তাকে গ্রেপ্তার করা না হলে সকল সনাতন ধর্মেও মানুষ জরো করে কঠোন কর্মসূচি দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস সাংবাদিকদের জানায়, আমি সত্য ধর্মের লোক। আমিও হিন্দুর সন্তান। আমি সনাতন ধর্ম ও গীতা নিয়ে কটূক্তি করি নাই।
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. জাফর আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানায়, একটি অভিযোগ পেয়েছি। একই ধর্মের দুই দলে একটু উত্তেজনা হয়েছিলো। সেখানে পুলিশ পাঠিলেয় স্থানীদের নিয়ে নিয়ে পরিস্থী সাভাবিক করা হয়েছে। এখন স্থানীয় লোকজ নিয়ে উভয় পক্ষের সাথে কথা হয়েছে একটি সমজতা সভা হবে। সমজতা না হলে তদন্তা সাপেক্ষে আইননানুক ব্যবস্থা নেয়া হবে।