বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে রোববার সকালে মাদক বিক্রিতে বাধাদেয়াতে মাদক বিক্রিতাদের হামলায় একই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছে। আহতদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে জুলফিকার ফকির বাদী হয়ে ১০ জনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানাগেছে।
স্থানীয় ও থানা সুত্রে জানা গেছে, উপজেলা বাকাল ইউনিয়নের ফুল্লশ্রী গ্রামে রফিজদ্দিন ফকিরের ছেলে যাকাত ফকির, ছালাম ফকির, জাকির ফকির দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় মাদক বিক্রি করে আসছে। তাদেরকে একাধিকবার মাদক নিয়ন্ত্রন অধিপ্তর, ডিবি, র্যাব ও পুলিশের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতেদেয়। তাদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মাদক মামলাও রয়েছে। তারা বর্তমানে জেল থেকে জামিনে এসে পুনরায় মাদক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। রোববার সকালে একই এলাকার রশিদ ফকিরের ছেলে জুলফিকার ফকির মাদক বিক্রেতার বড় ভাই মো.এরশাদ ফকিরকে বলে তার ভাইয়েরায়েরা এলাকায় মাদকবিক্র না করে। এইকথা মাদক বিক্রেতা যাকাত, ছালাম, জাকির জানতেপেয়ে তারা ১০-১২ জনের একটিদল জুলফিকার ফকিরের উপর হামলা করে আহত করে। এ সময় তাদের হামলায় জুলফিকারের মা শাবানা বেগম ও ভাই রফিক ফকির আহত হয়।
এঘটনায় আহত জুলফিকার ফকির বলেন, আমি মাদক বিক্রিকরতে নিষেদ করাতে মাদক বিক্রেতারা মিলে আমার ও আমার মা এবং ভাইকে পিটিয়ে আহতকরে। আমি বাদী হয়ে রোববার দুপুরে এরশাদ ফকির ও তার তিন ভাইসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
এঘটনায় বাকাল ইউপি চেয়ারম্যান বিপুল দাস বলেন, একাধিকবার উপজেলা আইন-শৃংখলা সভায় মাদকের বিরুদ্ধে বলা হয়েছে। তাদের মাদকসহ গ্রেপ্তারের সময় যারা আহত হয় তারা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসার পূর্বে মাদকব্যবসায়ীরা আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আসেন। রোববার সকালের ঘটনাটি আমি শুনেছি। এঘটনা পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হবে।
এঘটনায় এরশাদ ফকির বলেন, আমার ভাইদের মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে নিষেধ করলেও আমি শুনাতে পারছিনা। তাদেরকে র্যাব ও পুলিশ অনেকবার গ্রেপ্তার করেছে। কয়েকদির জেলখেটে বের হয়ে জায়।
এব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি (তদন্ত) মুহাম্মাদ জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটি তদন্তকতরে পরবর্তীতে প্রয়োজনী আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন মাদক বিক্রেতার সাথে আপস করা হবে না।