নওগাঁর রাণীনগরে চলতি মৌসুমে জমিতে পানি সেচ না দিয়ে আলু ক্ষেত নষ্টের অভিযোগ ওঠেছে গভীর নলকূপ অপারেটর মোজাম্মেল মোল্লার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক উপজেলা সেচ কমিটি এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থার মাধ্যমে সু-বিচার দাবি করেছেন কৃষক এনামুল হক।
উপজেলার কালীগ্রাম ইউনিয়নের মধুপুর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে কৃষক এনামুল হক অভিযোগ করে বলেন,চলতি মৌসুমে গ্রামের পশ্চিম মাঠে বিএমডিএর গভীর নলকূপের আওতায় প্রায় সাড়ে ১৬শতক জমিতে আলু রোপন করেছেন। জমিতে আলু রোপনের পর থেকে একই মাঠে সকল কৃষকের জমিতে পানি সেচ দিলেও আমার জমিতে এক ফোটা পানিও সেচ দেয়নি গভীর নলকূপের অপারেটর একই গ্রামের মোজাম্মেল মোল্লা।
এতে পানির অভাবে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি আরো জানান,জমিতে পানি সেচ না দেয়ায় স্থানীয় মেম্বার ও গন্যমান্য লোকজন নিয়ে বসেছিলাম। সেখানে পানি সেচের জন্য ১৫শত টাকা মিটমাট হলেও পরে আর পানি দেয়নি। ফলে ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। তিনি জানান,পারিবারিক দ্বন্দ্বের জে¦র ধরে জমিতে পানি সেচ দেয়নি। বাধ্য হয়ে সু-বিচার পেতে রোববার বিকেলে উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিএমডিএ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।
স্থানীয় মেম্বার হেলাল উদ্দীন বলেন,আমরা বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করেছিলাম। কিন্তু উভয় পক্ষের জিদের কারণে পরে আবারো তা ভেস্তে গেছে। এব্যাপারে গভীর নলকূপের অপারেটর মোজাম্মেল হকের সাথে যোগাযোগ করতে তাকে না পাওয়ায় মোজাম্মেলের ছেলে আবদুল মমিন মোল্লা বলেন,ধানের জমিতে পানি সেচ দিয়ে গত দুই বছরেও এনামুল কোন টাকা দেয়নি। তার জমিতে পানি সেচ ও জমিতে চাষ বাবদ ৩হাজার ৩০০টাকা পাওনা রয়েছি আমরা। টাকা চাইলে নানানভাবে টালবাহনা করে। ফলে আমরা জমিতে পানি সেচ দিইনি। রাণীনগর উপজেলা বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী ইমানুর রহমান বলেন,এব্যপারে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন,লিখিত অভিযোগের বিষয়টি দ্রুত তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।