ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুথি গোষ্ঠীর ক্ষেপণাস্ত্র নিশানা করে আবার হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। লোহিত সাগরে হামলারে জন্য প্রস্তুত চারটি জাহাজবিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্য করে রোববার এই হামলা চালানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে। খবর বিবিসি। গত শনিবার রাতে ইয়েমেনের ১৩টি স্থানে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীদের ৩৬টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। আগের দিন ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানের এলিট ফোর্স ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এবং বাহিনীটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠীর ৮৫টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র। এসব হামলায় প্রায় ৪০ জন নিহত হন। লোহিত সাগরে সামরিক ও পণ্যবাহী জাহাজের উপর ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনি গোষ্ঠীর ক্রমাগত হামলার জবাবে এই আক্রমণ করা হচ্ছে। হুথিদের আক্রমণ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে প্রভাবিত করছে। বড় শিপিং কোম্পানিগুলো নৌপথ এড়াতে বাধ্য হচ্ছে। মিশর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সুয়েজ খাল থেকে তাদের রাজস্ব জানুয়ারিতে প্রায় অর্ধেক কমে গেছে। গত মাসে সুয়েজ খালে যাতায়াতকারী জাহাজের সংখ্যা এক তৃতীয়াংশেরও বেশি কমে গেছে। শনিবারের হামলার পরপরই হুথিগোষ্ঠীর শীর্ষ সদস্য মোহাম্মদ আল বুখাইতি বলেছেন, 'হামলার জবাব হামলাতেই দেবো আমরা।' সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে তিনি বলেন, "ইয়েমেনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে মার্কিন-ব্রিটিশ জোটের বোমাবর্ষণ আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করবে না। আমরা নিশ্চিত করছি যত মূলয়ই দিতে হোক না কেন- গাজায় গণহত্যার অপরাধ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত এবং এর বাসিন্দাদের উপর অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।'' বুখাইতি আরো বলেন, ''আমাদের যুদ্ধ নৈতিক। আমরা যদি গাজায় নিপীড়িতদের সমর্থনে হস্তক্ষেপ না করতাম, তাহলে মানুষের মধ্যে মানবতা থাকত না। ইয়েমেনের বিরুদ্ধে আমেরিকান-ব্রিটিশ আগ্রাসনের উত্তর দেওয়া হবে। হামলার জবাব হামলাতেই দেবো আমরা।" যুক্তরাষ্ট্রের এসব পাল্টা হামলার বিষয়ে স্থানীয় সময় রোববার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান বলেন, 'এটাই শেষ নয়। আমাদের বাহিনী আক্রান্ত হলে জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এ ধরনের গোষ্ঠীগুলোর নতুন করে হামলা চালানোর সক্ষমতা কমানোর ক্ষেত্রে এসব হামলা ‘ভালো প্রভাব’ রেখেছে।'