এবার শুষ্ক মৌসুম না আসতেই পাবনার সুজানগরে পদ্মা নদীর কোলের পানি একদম শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এতে উপজেলার শত শত মৎস্যজীবী বেকার হয়ে পড়েছেন। ভুক্তভোগী মৎস্যজীবীরা জানায়, প্রত্যেক বছর জানুয়ারী মাসে পদ্মার পানি কমে গেলেও পদ্মার কোলের পানি তেমন একটা কমেনা। অনেকটা ভরা বর্ষা মৌসুমের মতোই কোলে পানি থাকে। বিশেষ করে উপজেলার সাতবাড়ীয়া, নিশ্চিন্তপুর, গোয়ারিয়া, মালিফা, মালফিয়া, মহনপুর এবং কামারহাট এলাকায় পদ্মা নদীর কোলে পর্যাপ্ত পানি থাকে। এ সময় উপজেলার শত শত মৎস্যজীবী ওই সকল কোল থেকে রুই, কাতলা এবং বোয়ালসহ বিভিন্ন প্রজাতির বড় বড় মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। কিন্তু এ বছর জানুয়ারী মাস আসার আগেই ওই সকল কোলের পানি একদম শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। উপজেলার তারাবাড়ীয়া গ্রামের মৎস্যজীবী আকরাম আলী বলেন, আমার পরিবারের অধিকাংশ সদস্য পদ্মা নদী ও নদীর কোলের পানিতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। কিন্তু এ বছর কোলের পানি প্রায় শুকিয়ে গেছে। একই এলাকার মৎস্যজীবী মানিক বলেন অনেক মৎস্যজীবী আছে তারা কেবল পদ্মা নদীর কোলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। পদ্মার কোলই তাদের কাছে মাছ শিকারের একমাত্র উৎস। কিন্তু চলতি মৌসুমে পদ্মার কোল শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হওয়ায় বিশেষ করে ওই সকল মৎস্যজীবী দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নূর কাজমীর জামান খান বলেন মৎস্যজীবীদের স্বার্থে আগামীতে পদ্মা নদীর ওই কোল খনন করে সারা বছর পানি রাখার উদ্যোগ নেওয়া হবে।