বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে জোরপূর্বক বিবাদমান জমি দখল করে রাতের আঁধারে ঘেরাবেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করে দখল নিয়েছে একটি প্রভাবশালী মহল। সোমবার (০৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১১ টার দিকে পৌরসভার উত্তর সরালিয়া গ্রামের আজিজুর শরীফের জমি দখলের ঘটনা ঘটে। রাতেই জাতীয় সেবা ৯৯৯ এ কল দিলে এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে থানায় যেতে বলেন থানায় গেলে মোরেলগঞ্জ থানার এসআই ঠাকুরদাসসহ দুজন সদস্য নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে, থানার ওসি বলেন, ‘কোন অভিযোগ পাইনি’। এ ঘটনায় মঙ্গলবার বেলা ১২ টার দিকে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ভূক্তভোগী আজিজুর শরীফের স্ত্রী জেসমিন বেগম। সাংবাদিক সম্মেলনে শরীফের স্ত্রী জেসমিন বলেন, সোমবার দিবাগত রাতে তাদের জমিটুকু দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করে বসবাস শুরু করে লালু চাপরাশী। রাত ১১টার দিকে থানায় হাজির হয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে রাত ১২ টার দিকে এসআই ঠাকুরদাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু পুলিশ রহস্যজনক কারণে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করেনি। অভিযোগে তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালে তার স্বামী আজিজুল শরীফ উত্তর সরালিয়া ৩ নং ওয়ার্ডে আবদুল কাদের খানের নিকট থেকে ১৪ শতক বিলীন জমি দলিলমূলে ক্রয় করে ৯ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে। যার কবলা দলিল নং-২৯৯০। পরে নিজ নামে মিউটেশন করে চলতি বছর পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করেছেন। ২০২৩ সালে ২ লাখ ব্যয় করে বালু ফেরে খাদ ভরাট করেছেন আজিজুল শরীফ। তাদের ক্রয়কৃত ওই জমিতে লোলুপ দৃষ্টি পড়ে একই গ্রামের প্রতিবেশী প্রভাবশালী মো. লাল মিয়া ওরফে লালু চাপরাশী। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে জমিতে দখলের জন্য রাতের আঁধারে নারী ক্যাডার বাহিনী নিয়ে জোরপূর্বক ঘেড়া বেড়া দিয়ে নতুন ঘর নির্মাণ, ফলন্ত কলাগাছ রোপন করে। প্রায় ৩ লাখ টাকার আর্থিক ক্ষতিস্বাধন করে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪ টার দিকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দীন বলেন, এখনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগে পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওসির এ বক্তব্যে কয়েক মিনিট পূর্বে এইসআই ঠাকুরদাস বলেন, রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে ওসি স্যারকে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনের পর এ বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য ঘটনাস্থলে গেলে দখলে থাকা লালু চাপরাশীকে পাওয়া যায়নি। ফোনও রিসিভ করেননি। তার স্ত্রী হাজেরা বেগম ও মেয়েরা কিছু বলতে রাজি হননি। স্থানীয়রা বলেন, রাতারাতি এখানে ঘেরাবেড়া দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। রাতে পুলিশও ওখানে গিয়েছিলো।