বাগেরহাটের শরণখোলার সাউথখালী ইউনিয়নের গাবতলা এলাকায় বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। নতুন করে আরো প্রায় ৫০০ ফুট (১৫০ মিটার) পরিমান মূল বেড়িবাঁধের নিচের গাইড ওয়াল বলেশ্বর নদে বিলিন হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেল থেকে বাঁধের ওপরের অংশের সিসি ব্লক ধসে নদীতে নেমে যেতে শুরু করেছে। এর আগে গতবছরের ১৭ ও ১৮ অক্টোবর একই এলাকায় আশার আলো মসজিদ থেকে ডিএস-৭ স্লুইস গেট পর্যন্ত প্রায় ৫০ মিটার গাইড ওয়ালসহ বাঁধ নদীগর্ভে বিলিন হয়ে যায়। ভাঙন কবলিত ওই অংশে বাঁধ বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান উপকূলীয় বাঁধ উন্নয়ন প্রকল্পের (সিইআইপি-১) মাধ্যমে জরুরি ভিত্তিতে (ইমার্জেন্সি প্রটেকশন) জিও ব্যাগে বালু ভরে তা ডাম্পিং করা হয়। কিন্তু ওই জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ে ভাঙন সাময়িক রোধ করা গেলেও বর্ষা মৌসুমে সেখানে আবারও ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় যুবলীগ নেতা কে এম সিয়াম মাহমুদ জানান, নতুন করে বাঁধে ভাঙন শুরু হওয়ায় বগী ও গাবতলার মানুষের মাঝে সেই প্রলয়ঙ্করি ঘূণিঝড় সিডরের আতঙ্ক বিজার করছে। বাঁধের নিচ থেকে গাইড ওয়াল আগেই বিলিন হয়েছে। এখন দুদিন ধরে ওপরের ব্লক নামতে শুরু করেছে। ভাঙনে বাঁধের গোড়ায় ৩৫ থেকে ৪০ ফুট গভীর খাদ সৃষ্টি হয়েছে। দ্রুত নদী শাসন করা না হলে মূল বাঁধই বিলিন হয়ে যাবে। সাউথখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ইমরান হোসেন রাজিব বলেন, বাঁধ নির্মাণের আগে আমরা বার বার বলেছি নদীন শাসন করতে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোনো গুরুত্ব দেয়নি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে বাঁধ হস্তান্তর করে সিইআইপি কর্তৃপক্ষ চলে গেছে। অথচ এখন আতঙ্কে দিন কাটাতে হচ্ছে আমাদের। ভাঙনরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের জানানো হবে। জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মুহাম্মদ আল বিরুনী বলেন, নতুন করে ভাঙনের বিষয়টি তার জানা নেই। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ভাঙন প্রটেকশনের ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।