আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর থেকে তিন সংস্করণেই দারুণ ধারাবাহিক ড্যারিল মিচেল। গত ৬-৭ মাসও ব্যতিক্রম নয়। সব সংস্করণেই নিউ জিল্যান্ড দলের অপরিহার্য অংশ তিনি। কে বলবে, ৬-৭ মাস ধরেই কিনি খেলে চলেছেন পায়ের চোট সঙ্গী করে ! টুকটাক দু-এক ম্যাচে বিশ্রামও নিয়েছেন। কিন্তু চোট সারেনি। সেই চোট থেকে পুরোপুরি সেরে ওঠার আশায় এবার একটু লম্বা বিরতি দেওয়া হলো ৩২ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ ও পরে এই মাসেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে খেলবেন না মিচেল। গত ৬-৭ মাস এই চোটকে ‘ম্যানেজ’ করেই খেলছেন মিচেল। ব্যথার কারণে গত মাসে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচ থেকে বিশ্রাম দেওয়া হয় তাকে। কিন্তু মুক্তি মেলেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে খেলার পর মেডিকেল বিভাগের পরামর্শে তাই এই বিরতি তাকে দেওয়া হলো। এই বিশ্রাম পেলেই যে মিচেল পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবেন, সেটির নিশ্চয়তা নেই বলেই জানালেন নিউ জিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টেড। তবে ভালো কিছুর আশায় আছেন তারা। “আগেও আমরা সুযোগ পেয়ে তাকে বিশ্রাম দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, আরেকটু লম্বা সময়ের বিরতি তার প্রয়োজন। এটা কঠিন, কারণ সামনের সময়টায় খুব বেশি বিরতি নেই খেলার। আমাদের তাই মনে হয়েছে, সপ্তাত তিনেকের বিরতি দিয়ে দেখা যাক, এটা থেকে তার মুক্তি মেলে কি না।” “যদিও কোনো নিশ্চয়তা নেই যে এই বিরতিটুকুতেই কাজ হয়ে যাবে। তবে আমরা খুবই আশাবাদী যে, আরও লম্বা সময় আমাদের সঙ্গে তার থাকার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে এই বিশ্রামে।” মিচেল বদলি হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের স্কোয়াডে কাউকে যোগ করেনি নিউ জিল্যান্ড। স্কোয়াডে বাড়তি ব্যাটসম্যান হিসেবে আছেন উইল ইয়াং। হ্যামিল্টন টেস্টে তার খেলার সম্ভাবনাই বেশি। কিংবা গ্লেন ফিলিপস ও মিচেল স্যান্টনারকে ব্যাটিং অর্ডারে একটু ওপরে তুলে বাড়তি পেসার খেলানোর কথাও ভাবতে পারে ম্যানেজমেন্ট। হ্যামিল্টন টেস্ট শুরু আগামী বুধবার। প্রথম টেস্টে ২৮১ রানের জয়ের সিরিজে এগিয়ে কিউইরা।