কুড়িগ্রাম সদরের ধরলা ব্রিজ পূর্ব পাড়ে সৈয়দ ফজলুল করিম (রহ.) জামিয়া ইসলামিয়া মাদ্রাসা মাঠে শুরু হওয়া তিন দিনের ইজতেমা আখেরি মোনাজাতের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়েছে। রোববার সকালে এই আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার ব্যানারে আয়োজিত এ ইজতেমায় দেশ ও জাতির শান্তি ও সম্মৃদ্ধি কামনা করে সকাল সাড়ে ৮ টায় মুনাজাত পরিচালনা করেন চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম। এ সময় আগত মুসল্লিগণ দুয়ায় অংশগ্রহণ করেন। মুনাজাত পূর্ব বয়ানে চরমোনাই পীর বলেন, নামাজ, রোজা যেমন ইবাদত তেমনি আল্লাহর হুকুম অনুযায়ী ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনা করাও ইবাদত। ভোট মানে স্বাক্ষী দেয়া সমর্থন করা। তাই বুঝে শুনে সেই সমর্থন দেয়া উচিত। তিনি আরও বলেন, দুনিয়া ও আখিরাতে কামিয়াব হতে হলে আল্লাহর কাছে পুরোপুরি আত্মসমর্পণ করতে হবে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে লাখো মুসল্লিদের অংশগ্রহণে শুরু হওয়া তিন দিনের এ ইজতেমায় উদ্বোধনী বয়ান করেন চরমোনাই পীর মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম। তিনি ইজতেমা ব্যবস্থাপনা কমিটি, আগত মুসল্লী, সাংবাদিকবৃন্দ, ইজতেমার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের সকল সদস্য, এলাকাবাসীসহ নিপিড়ীত বিশ্বের সকল মুসলমানদের জন্য মাগফিরাত কামনা করেন। বিশেষ করে ফিলিস্তিনী মুসলমানদের জন্য বিশেষভাবে দোয়া করা হয়। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা থেকে আসা আইয়ুব আলী নামের এক মুসল্লী বলেন, আমি গত বৃহস্পতিবার ইজতেমা ময়দানে আসি। এখানে তিনদিন ধরে ছিলাম। হাজার হাজার মানুষ এসেছে এখানে। আজ সকালে আখিরি মুনাজাতের মধ্যে দিয়ে ইজতেমা শেষ হলো। ইজতেমার সদস্য সচিব মাওলানা আবদুল মোমিন বলেন, তিনদিন ব্যাপী বয়ানে আরও অংশ নেন, মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম শায়েখে চরমোনাই, মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, পীর সাহেব খুলনা, নও মুসলিম ডা. সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, মাওলানা রেজাউল করীম, মোসলেহ উদ্দীন আজাদী, রংপুর বিভাগীয় মুজাহিদ কমিটির সদস্য জয়নুল আবেদীন প্রমুখ।