রোমারিও শেফার্ডের ডেলিভারিটি কাভার ও মিড-অফ ফিল্ডারের মাঝে দিয়ে পাঠিয়েই হুঙ্কার দিলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বল বাউন্ডারিতে যাওয়ার আগেই শুরু করে দিলেন উদযাপন। ওই চারে ৯৭ থেকে কাক্সিক্ষত ঠিকানায় পৌঁছে গেলেন তিনি। সঙ্গে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ডে রোহিত শার্মাকে স্পর্শ করলেন অস্ট্রেলিয়ান তারকা। অ্যাডিলেইডে রোববার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে তিন অঙ্কের উষ্ণ ছোঁয়া পান ম্যাক্সওয়েল। শেষ পর্যন্ত ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। তার ৫৫ বলের খুনে ইনিংসটি গড়া ৮ ছক্কা ও ১২ চারে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ম্যাক্সওয়েলের পঞ্চম সেঞ্চুরি। গত মাসেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১২১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে পাঁচ সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েছিলেন রোহিত। ভারতীয় তারকা ব্যাটসম্যানকে ধরতে খুব বেশি সময় নিলেন না ম্যাক্সওয়েল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির তালিকায় তাদের পরেই আছেন সুরিয়াকুমার ইয়াদাভ। ভারতীয় বিস্ফোরক এই ব্যাটসম্যানের শতক চারটি। তিনটি করে সেঞ্চুরি আছে চেক রিপাবলিকের সাবাউন দাভিজি, নিউ জিল্যান্ডের কলিন মানরো ও পাকিস্তানের বাবর আজমের। ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে এদিন ষষ্ঠ ওভারে উইকেটে যান ম্যাক্সওয়েল। মুখোমুখি হওয়া প্রথম ৬ বলে করেন কেবল ৪ রান। আকিল হোসেনকে স্লগ সুইপে ছক্কা মেরে ডানা মেলে দেন তিনি। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের যেন স্রফে কচুকাটা করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ২৫ বলেই ফিফটিতে পা রাখেন ম্যাক্সওয়েল। যেখানে চারটি করে ছক্কা ও চার মারেন তিনি। সেখান থেকে সেঞ্চুরি স্পর্শ করতে ঠিক ২৫ বল লাগে তার। সেঞ্চুরি করে থেমে যাননি ম্যাক্সওয়েল। তিন অঙ্ক ছোঁয়ার পরের বলেই শেফার্ডকে চার মারেন তিনি। শেষ ওভারে রাসেলকে দুই চারের সঙ্গে হাঁকান একটি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত তাকে আর আউট করতে পারেননি ক্যারিবিয়ানরা। ম্যাক্সওয়েলের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে ৪ উইকেটে ২৪১ রান করে অস্ট্রেলিয়া। দেশটির মাটিতে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় রান এটি। ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে ৩৯ বলে অবিচ্ছিন্ন ৯৫ রানের জুটিতে ১৪ বলে ৩১ রান করেন টিম ডেভিড। ১৯ বলে ২২ রান করেন আগের ম্যাচে বিস্ফোরক ফিফটি করা ডেভিড ওয়ার্নার। মিচেল মার্শের ব্যাট থেকে আসে ১২ বলে ২৯ রান।