দাম্পত্য কলহের জেরধরে স্ত্রীকে হাতুরি পেটা করে হত্যার পর ঘাতক স্বামী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। হত্যার ঘটনায় মামলা দায়েরের পর সোমবার দুপুরে ওই মামলায় ঘাতক সুমন রায়কে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার বানারীপাড়া উপজেলার উদয়কাঠির পিজিএস এলাকার। তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বানারীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃত সুমন রায় (৩৩) ওই এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য সুধীর রায়ের ছেলে। নিহত বীথি সমদ্দার (৩০) গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার নয়াকান্দি গ্রামের বাসিন্দা বাসুদেব সমদ্দারের মেয়ে। হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই বাদি হয়ে রোববার দিবাগত রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পাশাপাশি নিহতের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এজাহার ও স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ওসি আরও জানান, সুমনের সাথে বীথির পাঁচ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। তাদের সুক্তা রায় নামের তিন বছর বয়সের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। দাম্পত্য কলহের জেরধরে রোববার বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বাগ্বিতন্ডা হয়। একপর্যায় সুমন হাতুরি দিয়ে এলোপাথাড়ি পিটিয়ে বীথিকে গুরুত্বর জখম করেন। প্রতিবেশিরা বীথিকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল চারটার দিকে বীথির মৃত্যু হয়। ওসি মাইনুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর স্বামী সুমন রায় ৯৯৯ ফোনকল করে বিষয়টি জানিয়ে আত্মসমর্পণের কথা বলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহতের মামাতো ভাই সুব্রত মল্লিক জানান, সুমন নেশায় আসক্ত। তাই নেশার টাকার জন্য প্রায়ই বীথিকে নির্যাতন করতো।