মাদকসহ দুইজনকে আটকের পর একজনকে অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর জেলার আগৈলঝাড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবু সালেহকে ক্লোজড করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রেজওয়ান আহমেদ পিপিএম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। যেকারণে তদন্তের স্বার্থে এএসআই আবু সালেহকে আগৈলঝাড়া থানা থেকে ক্লোজড করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়ার গৈলা ইউনিয়নের দক্ষিণ শিহিপাশা গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ রাহাত খান ও শিবু রায় নামের দুইজনকে আটক করেন এএসআই আবু সালেহ। আটকের পরে শিবু রায়কে অর্থের বিনিময়ে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দিয়ে আসেন আবু সালেহ। পরে আটক রাহাত খানকে শিবু রায়ের চেয়ে দ্বিগুণ অর্থে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। এরপর রাহাতকে মাদক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বিষয়টি জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানতে পেরে তাৎক্ষণিক তারা তদন্তে নামেন। অপরদিকে অভিযুক্ত এএসআই আবু সালেহ বলেন, মাদকসহ রাহাত খানকে আটকের সময় শিপু রায় ওই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তার কাছে কোনো মাদক না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ একজন পথচারীকে আটক করা পুলিশের দায়িত্বে পরেনা। এখন যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।