রাতের আধাঁরে পরিত্যক্ত বাথরুমের মধ্যে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীদের রেখে যাওয়া বোমা মঙ্গলবার সকালে নিস্কিয়ের সময় বিস্ফোরনের ঘটনা ঘটেছে। এতে থানার দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজন গুরুত্বর আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জেলার গৌরনদী পৌর এলাকার ২ নম্বর ওয়ার্ডের কসবা ইসলামিক মিশন সংলগ্ন হাওলাদার বাড়িতে। আহতরা হলেন-গৌরনদী মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন, কনস্টবল মিজানুর রহমান ও স্থানীয় বাসিন্দা মাসুম হাওলাদার। পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত সূত্রে জানা গেছে, ওই গ্রামের মৃত রাজু হাওলাদারের বাথরুমের মধ্যে সোমবার দিবাগত রাতে বোমা রেখে তালাবদ্ধ করে রাখে অজ্ঞাতনামা দুস্কৃতকারীরা। মঙ্গলবার সকালে বাথরুম তালাবদ্ধ দেখে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভাঙ্গেন রাজু হাওলাদারের ছেলে মাসুম। পরে তিনি দুইটি ব্যাগের মধ্যে ১০/১২ টি বোমা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে গৌরনদী মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন ও কনস্টবল মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে ছুঁটে আসেন। পরবর্তীতে ব্যাগ ভর্তি বোমা উদ্ধার করে বালতির পানিতে ফেলে নিস্কিয়ের সময় অসাবধানতাবশত আকস্মিক বিস্ফোরন ঘটে। এতে এসআই কামাল হোসেন, কনস্টবল মিজানুর রহমান ও মাসুম হাওলাদার গুরুত্বর আহত হন। খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক গৌরনদী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেন। অপরদিকে ঘটনার পরপরই পুলিশের কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আবু আব্দুল্লাহ খান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আহতদের বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন থেকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে চরম বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে একাধিকবার বোমা হামলা ও রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। আহত মাসুম হাওলাদার একপক্ষের সমর্থক। তিনি (মাসুম) জানিয়েছেন, সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঘরের বাহিরে লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তিনি ঘর থেকে বের হওয়ার চেষ্ঠা করেন। কিন্তু তার বসত ঘরের বাহির থেকে শিকল আটকে রাখায় তিনি ঘর থেকে বের হতে পারেননি। পরে সকালে দেখতে পান তাদের বাথরুমের খোলা একটি কক্ষ তালাবদ্ধ করে রাখা। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তালা ভেঙ্গে বাথরুমের মধ্যে দুইটি ব্যাগে বোমা সুদৃশ্য বস্তু দেখে থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুুলিশ এসে ওই ব্যাগের মধ্য থেকে ১০/১২টি বোমা উদ্ধারের পর তা বালতির পানিতে ফেলে নিস্কিয়ের সময় বিস্ফোরন ঘটেছে। তিনি (মাসুম) আরও জানান, প্রতিপক্ষের লোকজনে আমাকে ফাঁসানো জন্য এই ষড়যন্ত্র করেছে। পুরো ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তিনি প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।