বিগত পাঁচ বছরেও বন বিভাগের উপকারভোগীদের অর্থ না দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গাছের অর্থ চাইতে গেলে উল্টো উৎকোচ চাওয়া হচ্ছে। উপকারভোগীরা বিভাগীয় বন কর্মকর্তার হয়রানি ও ঘুষ-দুর্নীতির প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণের দাবি করেছেন। মঙ্গলবার সকালে পল্লী উন্নয়ন প্রচেষ্টার (সামাজিক বনায়নের উপকারভোগী) সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাজাহান মিয়া অভিযোগ করে বলেন, ২৫ বছর আগে তারা জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুরে বন বিভাগের সাথে চুক্তিভিত্তিক গাছ রোপন করেন। ২০ বছর পর ২০১৮ সালে খাঞ্জাপুরের সব গাছ বিক্রি করে বন বিভাগ। চুক্তি অনুযায়ী বিক্রিত অর্থের ১০ ভাগ বন বিভাগ ও ২০ ভাগ স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ এবং ৭০ ভাগ উপকারভোগীর পাওয়ার কথা। কিন্তু গত পাঁচ বছর ধরে বন বিভাগ উপকারভোগীদের অর্থ না দিয়ে হয়রানি করে আসছে। গাছের অর্থ চাইতে গেলে উল্টো সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. এমএ আউয়াল তাদের কাছে উৎকোচ দাবি করছেন। উপকারভোগী আহসানউজ্জামান বাদল ও হাবিবুর রহমানসহ অন্যান্যরাও একই অভিযোগ করে অনতিবিলম্বে সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তার দুর্নীতি, ঘুষ বাণিজ্য ও হয়রানির তদন্ত করে অনতিবিলম্বে তার অপসারণ দাবি করেন। একই অভিযোগে ইতোমধ্যে নগরীর উত্তর বগুড়া রোডের বন বিভাগের অফিসের সামনে উপকারভোগীরা মানববন্ধনও করেছেন। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. এমএ আউয়াল বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। সুবিধাভোগীদের কাছে অর্থ দাবি করার বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে সুবিধাভোগীরা যাতে দ্রুত তাদের চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পেতে পারে তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।