রংপুরের পীরগাছায় মাছ ধরাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের মারপিটে মহিলাসহ ৫ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ৩ জনকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার কৈকুড়ী ইউনিয়নের পূর্ব শুল্লিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে। অভিযোগে জানা গেছে, ওই গ্রামের আবদুল মান্নান মিয়ার ছেলে গোলাম মোস্তফা কয়েকদিন আগে তার চাচা শ^শুড় আবদুল কুদ্দুছ এর পুকুর থেকে খাবার জন্য মাছ ধরেন। এ নিয়ে প্রতিবেশি মৃত ইউছুব আলীর ছেলে এরশাদুল ইসলাম (৬৫) তার ছেলে ও ভাতিজারা তাকে খুঁজতে থাকে। গত সোমবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে গোলাম মোস্তফা ও হানিফ উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম কাজ শেষে বাড়িতে আসলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ এরশাদুল ইসলাম, বাদশা মিয়া, নুর আলম, শামীম মিয়া, শাহীন মিয়া ও সাগর লাঠিসোঠা নিয়ে গোলাম মোস্তফার বাড়িতে হামলা চালায় এবং এলোপাতারি মারপিট শুরু করে। এ সময় তারা সাইফুল ইসলাম (৫৩) গোলাম মোস্তফা (৩৬), আজিরন নেছা (৭০), মরিয়ম বেগম (২৫) কে বেদম মারপিট করে আহত করে এবং তাদের ঘরে থাকা জমি বিক্রির ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। তাৎক্ষনিক ভাবে খবর পেয়ে পীরগাছা থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং গুরুতর আহত সাইফুল ইসলাম, গোলাম মোস্তফা, ও আজিরন নেছাকে পীরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাইফুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে শয্যাশয়ী। তাদের মাথায় সেলাই দেয়া রয়েছে। আর আজিরন নেছা পায়ে আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ঠিকমত হাটতে পারছেন না। এ সময় তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। অপরদিকে অভিযুক্ত শামীম মিয়া জানান, আমাকে প্রথমে মারপিট করার কারণে আমার পরিবারের লোকজন তাদের বাড়িতে হামলা ও মারপিট করেছে। আমরাও হাসপাতালে ভর্তি আছি। এ ব্যাপারে পীরগাছা থানার এএসআই আনোয়ার হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আমি দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি এবং আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করি। তবে এখনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।