বগুড়ার শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হুমায়ুন কবির ড্যানি (৩৩) কে গত সোমবার বিকালে কারাগারে পাঠিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত। সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে ছুরিকাঘাত করে হত্যার অভিযোগ ভুক্ত আসামি তিনি। হুমায়ুন কবির ড্যানি বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজিরা দিতে গেলে বিচারক তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মঙ্গলবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কোর্ট ইন্সপেক্টর মোছাদ্দেক হোসেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর শাজাহানপুর উপজেলার নগর রাজারামপুর গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে আলমগীর হোসেন নামের এক সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালককে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। ওই ঘটনায় ৩০ ডিসেম্বর নিহত ব্যক্তির ছোট ভাই মনিরুজ্জামান লিমন বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় ২০ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হমায়ুন কবির ড্যানি। এই মামলায় তিনি জামিনে মুক্ত ছিলেন। সম্প্রতি আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার তিনি আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন বিজ্ঞ আদালত। এ বিষয়ে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মাহিদুল ইসলাম জয় বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো সঠিক তথ্য নেই। তবে যেহেতু এটা আদালতের বিচারিক বিষয়, আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না।’ সে দোষী হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের ২৩ মার্চ এক কর্মী সভায় গালিব সরকারকে শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং মো. হুমায়ুন কবির ড্যানিকে সাধারণ সম্পাদক করে এক কমিটি ঘোষণা করা হয়। তখন অভিযোগ উঠেছিল ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক একটি হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামি। আর সভাপতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে হওয়া মামলার আসামি। এ কারণে ছাত্রলীগের একটি অংশ কমিটি প্রত্যাখ্যান করে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এরপর একই বছর ২৬ জুন হুমায়ুন কবির ড্যানিকে সাধারণ সম্পাদক থেকে সভাপতি ও সাদায়েত জামান নিহালকে সাধারণ সম্পাদক করে নতুন আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়।