ফাল্গুনের শুরুতে দৌলতপুরের অনেক গ্রামে বিভিন্ন এলাকায় গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। চোখে পড়ে মুকুলের ছেয়ে থাকা অসংখ্য আম গাছ। কবির ভাষায় ফাল্গুন এসেছে সুবাস ছড়াচ্ছে আ¤্রমুকুল। গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। প্রকৃতিতে এখনো ফাল্গুন কিন্তু এরইমধ্যে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের ঘ্রাণ। বাতাসে মিশে সৃষ্টি করছে মৌ মৌ গন্ধ। আর এই মিষ্টি গন্ধ মানুষের মনকে বিমোহিত করে শোনাচ্ছে মধুমাসের আগমনী বার্তা। গাছে শোভা পাচ্ছে কেবলই মুকুল। যেন হলুদ আর সবুজের মহামিলন। মুকুলে ছেয়ে আছে গাছের প্রতিটি ডালপালা। চারদিকে ছড়াচ্ছে সেই মুকুলের সুবাসিত পাগল করা ঘ্রাণ। সরেজমিনে দেখা যায়, কুষ্টিয়া দৌলতপুরের বিভিন্ন গ্রামে ও সড়কে পাশে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুলের ঘ্রাণে মৌমাছির আহরণে কোকিলের ডাকে শুভা পাচ্ছে আমের মুকুল। শহর থেকে শুরু করে গ্রামের বসতবাড়ির আঙ্গিনার আম গাছ গুলোতে সুন্দর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। থোকা থোকা মুকুলের ভারে ঝুলে পড়েছে আম গাছের ডালাপালা। আমের মুকুলের ঘ্রাণ বইছে পুরো গ্রাম গুলোতে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এই মুকুলের ঘ্রাণ। বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে এর সুগন্ধ। গ্রামগঞ্জ সর্বত্র আমগাছ তার মুকুল নিয়ে হলদে রং ধারণ করে সেজেছে এক অপরূপ সাজে কুষ্টিয়া দৌলতপুরে। গাছে গাছে অজ¯্র মুকুল দেখে খুশি এলাকার মানুষ। তবে দেশী জাতের আম গাছে মুকুল ধরতে শুরু করেছে। আমের মুকুল ভরা মৌসুমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মতো কোন কিছু হলেই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানান বাগান মালিকরা। কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, আমের প্রকৃত ফলন পেতে হলে অবশ্যই আম গাছে কমপক্ষে দুইবার ইমিডাক্লোরোপিড গ্রুপের কীটনাশক ও ম্যানকোজেব গ্রুপের ছত্রাকনাশক অনুমোদিত মাত্রায় স্প্রে করতে হবে। প্রথমবার আমের মুকুল আসার পর কিন্তু ফুল ফোটার আগে, দ্বিতীয়বার আমের সাইজ মটরদানার মত হলে। এ ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ পাশাপাশি প্রশিক্ষণ প্রদান কৃষি বিভাগ পক্ষ হতে অব্যাহত রেখেছে।