দিঘলিয়া উপজেলার নদীগুলোতে জাটকা শিকার বন্ধ হচ্ছেনা। হচ্ছেনা বন্ধ শিকারিদের জাটকা শিকারে জাল ফেলা। পাশাপাশি বন্ধ হচ্ছেনা জাটকা শিকার, সংরক্ষণ ও বাজারজাত করণ। দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন নদী ঘুরে ও বাজার পরিদর্শনে জানা যায়, দিঘলিয়া উপজেলার ৩টি নদীতে মাছ শিকারিরা প্রতিনিয়ত জাল দিয়ে মাছ শিকার করে শিকারিরা। এ নদীগুলো হলো আতাই, ভৈরব ও মজুতখালী। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে মা ইলিশ ও জাটকা শিকার, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণ সম্পূর্ণ সরকারিভাবে নিষিদ্ধ। সরকার ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের লোকজনকে ভিন্ন পেশায় উদ্বুদ্ধকরণে গরুর বকনা বছুর বিতরণ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে জানা গেছে, দিঘলিয়া উপজেলায় ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণে জেলে সম্প্রদায়ের ৪৬ জন জেলে পরিবারের মধ্যে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে। ৪০০ পরিবারের মধ্যে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হয়েছে। কিন্তু এ এলাকায় মা ইলিশ ও জাটকা শিকার বন্ধ হচ্ছেনা। ইলিশ সম্পদ সংরক্ষণের অংশ হিসেবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের পক্ষ থেকে নদীতে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হচ্ছে। অভিযানে কারেন্ট জালসহ মাছ শিকারে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রকার বিপুল পরিমাণ জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়েছে। তবুও জাটকা শিকার ও হাটে বাজারে ফেরিওয়ালাদের ভ্যানে বিক্রি বন্ধ হচ্ছেনা। এ ব্যাপারে কথা হয় উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার দিঘলিয়া মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম এর সাথে। তিনি এ প্রতিবেদককে জানান, জাটকা শিকার বন্ধে নদী ও হাটে-বাজার অভিযান অব্যাহত আছে। অভিযান ও মোবাইল কোর্ট অব্যাহত থাকবে। তিনি এ ব্যাপারে এলাকার জনপ্রতিনিধি ও আইন প্রয়োগকারী সকল সংস্থা ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন।