দেবহাটায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ (বলাৎকার) অভিযোগে দায়ের করা মামলা ও নাশকতা মামলাসহ একাধিক মামলায় ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে দেবহাটা থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার পৃথক অভিযানে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃতরা হলেন, উপজেলার দক্ষিণ পারুলিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে মাদ্রাসা শিক্ষক তামিমুল ইসলাম (২৮) এবং খলিশাখালীর মৃত বক্কার গাজীর ছেলে ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলাম (৪৫)। জানা গেছে, তামিমুল ইসলাম পারুলিয়ার একটি মাদ্রার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন। (১৬ ফেব্রুয়ারী) ঐ প্রতিষ্ঠানের এক শিক্ষার্থীর পরিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) ধারায় দেবহাটা থানায় ধর্ষণ (বলাৎকার) মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। এ ছাড়া (১৫ ফেব্রুয়ারী) অভিযান পরিচালনা করে নাশকতাসহ ৫ মামলার আসামি ভূমিদস্যু সাইফুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সেলিম রেজা ও এসআই রাজীব মন্ডল। তবে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ (বলাৎকার) মামলার বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান মুফতি আবদুস সবুর জানান, ঐ শিক্ষার্থীর বাড়ি নলতায়। সে ২বছর ধরে এই মাদ্রাসায় পড়ালেখা করছে। কিছুদিন ধরে সে লেখাপড়ায় ভাল না করায় তাকে শাসন করায় কয়েক বার বাড়িতে চলে যায়। পরে আবার ফিরিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন ধরে ওই শিক্ষার্থীর পরিবার অভিযোগ করে জানান, দেড় বছর আগে ওই শিক্ষক তাদের ছেলের সাথে অন্যায় কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রাথমিকভাবে এবং একজন চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি সমাধানের জন্য শালিশ করে শিক্ষকের ভুল স্বীকার ও শাসন করেছি। তারপরেও শিক্ষার্থীর পরিবার মামলা দায়ের করেছেন। দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ মাহমুদ হোসেন জানান, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করা মামলায় শিক্ষক আটক হয়েছেন। এ ছাড়া নাশকতাসহ ৫ মামলার আসামি এক ভূমিদস্যুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার আসামীদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি জানান।