স্কোরলাইনে সমতা থাকা ম্যাচের শেষ দিকে নাটকীয়তার যেন অভাব হলো না। যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পেল বার্সেলোনা। প্রথম দফায় সুযোগ কাজে লাগাতে পারলেন না রবের্ত লেভানদোভস্কি। তার শট ঠেকালেন সেল্তা ভিগোর গোলরক্ষক। তবে পোলিশ তারকা শট নেওয়ার আগেই গোলরক্ষক লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় পুনরায় স্পট কিকের সিদ্ধান্ত দিলেন রেফারি। এবার আর ভুল করলেন না লেভানদোভস্কি। তার নৈপুণ্যে জয়ের পথে ফিরল শাভি এর্নান্দেসের দল। প্রতিপক্ষের মাঠে শনিবার রাতে লা লিগার ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে বার্সেলোনা। প্রথমার্ধে লেভানদোভস্কি কাতালান দলটিকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সমতা ফেরান ইয়াগো আসপাস। এরপর শেষ সময়ে লেভানদোভস্কির পেনাল্টি গোলে সফরকারীদের জয়োল্লাস। এক ম্যাচ পর লিগে জয়ের স্বাদ পেল বার্সেলোনা। গত রাউন্ডে গ্রানাদার সঙ্গে ৩-৩ গোলে ড্র করেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নরা। জয়ে ফেরার লড়াইয়ে দশম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় বার্সেলোনা। ভিতো হকের পাস থেকে লামিন ইয়ামালের বাঁ পায়ের শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে সুযোগ তৈরি করে সেল্তা। তবে বক্সের ভেতর থেকে লারসেনের শট ঠেকাতে কোনো বেগ পেতে হয়নি জার্মান গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেনকে। প্রথমার্ধে আর একটি শটই কেবল লক্ষ্যে রাখতে পারে বার্সেলোনা। সেটিতেই সাফল্য পেলে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে। ইয়ামালের পাস বক্সের বাইরে প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ভেতরে ঢুকে ডান পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন লেভানদোভস্কি। সেই স্বস্তি দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটেই উবে যায় সফরকারীদের। সমতা ফেরান আসপাস। বক্সের বাইরে থেকে ৩৬ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডের শটে বল বার্সেলোনার ডিফেন্ডার জুল কুন্দের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। আগেই অন্য দিকে ঝাঁপিয়ে পড়া টের স্টেগেনের কিছুই করার ছিল না। ৫৮তম মিনিটে হকের বদলি নামা আরেক ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রাফিনিয়া ছয় মিনিট পর শট নেন দূর থেকে, বল ক্রসবারের ওপর দিয়ে পাঠান গোলরক্ষক। ৬৮তম মিনিটে আরেকটি সুযোগ পান রাফিনিয়া। এবার তার শট আটকে যায় রক্ষণে। ছয় মিনিট যোগ করা সময়ের তৃতীয় মিনিটে ইয়ামাল সেল্তার বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। সেখানে অমন নাটকীয়তা এবং শেষ পর্যন্ত বার্সেলোনার জয়। চলতি লিগে ২২ ম্যাচে লেভানদোভস্কির গোল হলো ১০টি, বার্সেলোনার কারও যা সর্বোচ্চ। ২৫ ম্যাচে ১৬ জয় ও ৬ ড্রয়ে ৫৪ পয়েন্ট নিয়ে তিনে আছে বার্সেলোনা। ২৪ ম্যাচে ৫৬ পয়েন্ট নিয়ে জিরোনা দুইয়ে, ৬১ পয়েন্ট নিয়ে রেয়াল মাদ্রিদ শীর্ষে আছে। ২৫ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে ১৭ নম্বরে আছে সেল্তা ভিগো।