হাসপাতাল থেকে পালানোর দুই ঘন্টার মধ্যেই অগ্নিদগ্ধ কিশোরের মরদেহ রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী মাদ্রাসা মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে রাজশাহীর হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুরে শরীরে ব্যান্ডেজ জড়ানো অবস্থায় ওই কিশোরের মরদেহ ভাসছিল। পরে স্থানীয়রা পাশে থাকা রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিস ও রাজপাড়া থানায় খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। নিহত কিশোরের নাম নাভিদ ইসলাম (১৫)। সে রাজশাহী মহানগরীর তেরোখাদিয়া এলাকার খাদেমুল ইসলামের ছেলে। এ ঘটনায় মৃত কিশোর নাভিদের মা রিতা বেগম জানান, তার ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। কিছুদিন আগে সে নিজের শরীরে নিজেই আগুন দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা চালানের পর তাকে দগ্ধ অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছিল। পরে সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সোয়া ৭টার দিকে তিনি ওয়াশরুমে গেলে এ সুযোগে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় নাভিদ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে হাজী মুহাম্মদ মহসিন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের পুকুর থেকে তার ছেলের মরদেহ উদ্ধারের খবর পান। তার ছেলের মাথায় সব সময় আত্মহত্যার চিন্তা কাজ করতো। কিন্তু নাভিদ কেন বাঁচতে চাইতো না তার কারণ আমরা খুঁজে পাইনি। মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় সোমবার বিকেলে রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল হক জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদের মাধ্যমে মরদেহ উদ্ধার করেন। ওই কিশোরের মুখ ও শরীরের বিভিন্ন স্থান আগেই থেকে পোড়া ও ব্যান্ডেজ মোড়ানো ছিল। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থাগ্রহণ শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়াধীন।