চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাটে দই বিক্রির টাকায় সমাজসেবা করে একুশে পদক পাওয়া জিয়াউল হকের পাঠাগারের জন্য জমি ও ভবন করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে একুশে পদক প্রদান অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় বলেন- তিনি যে পাঠাগারটি করেছেন, আমার কাছে কিছুক্ষণ আগে বললের তার জন্য স্থায়ী ভূমি দরকার, পাঠাগারের জন্য বিল্ডিং দরকার; আমি করে দেব। শুধু তাই নয়, তিনি যে স্কুল করেছেন আমি সেই স্কুলের খোঁজ-খবর নিব, এবং যথাযথভাবে সরকারি করে দেব। যে মানুষটা তার জীবনের এত বড় ত্যাগ স্বীকার করতে পারে সাধারণ মানুষের জন্য তাদের জন্য কিছু করা আমার কর্তব্য। আমি শুধু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বলছি না, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে বলছি। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন- তিনি (জিয়াউল হক) দারিদ্রতার কারণে নিজে লেখাপড়া করতে পারেন নি। এজন্য তার ভেতরে দুঃখ যন্ত্রণা ছিল। কিন্তু তিনি থেমে যান নি। দই বিক্রি করে তিনি সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়েছিলেন। সেই সঙ্গে অন্যের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য তিনি পাঠাগার তৈরী করেন। আমি তাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানায় এবং আজকে তাকে পুরস্কার দিতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এবার একুশে পদক দেয়া হয়েছে ২১ জনকে। এর মধ্যে ভাষা আন্দোলন ক্যাটাগরিতে দুজন, শিল্পকলায় ১২ জন, সমাজসেবায় দুজন, ভাষা ও সাহিত্যে চারজন এবং শিক্ষায় একজনকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। জিয়াউল হক একুশে পদক পেয়েছেন সমাজসেবায়।