নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে মাকসুদাহ্ সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে ১০শ শ্রেণী পর্যন্ত ৫শত শিক্ষার্থীর জন্য প্রধান শিক্ষকসহ ৫জন শিক্ষক রয়েছে। এতে ছাত্রীদের পাঠদানে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। জানা যায়, সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ ১১জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও ১৫ দরে ৫জন শিক্ষকই ৫শত ছাত্রীদের পাঠদান করাচ্ছেন। বাকী ৬ জন শিক্ষক ও ২জন পিয়নের পদ দীর্ঘদিন থেকে শূণ্য রয়েছে। শিক্ষক না থাকায় ছাত্রীদের অভিভাবকেরা খুবই অসন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন জানান, দীর্ঘদিন পর্যন্ত শিক্ষকের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও ৬জন শিক্ষক পায়নি। এতে করে আমাদের ছাত্রীদের পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। তার পরও আমরা শত কষ্ট হলেও ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত ৫জন শিক্ষকই পাঠদান দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরও বলেন, কম্পিউটার অপারেটর থাকলেও সেই রীতিমত স্কুলে আসে না বলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন। এ বিষয়ে কম্পিউটার অপারেটর আবুল কালাম জানান, আমি স্কুলে আসলেও আমাকে স্কুলের যাবতীয় কাজসহ ছাত্রীদের সনদপত্র ও আয় ব্যয়ের হিসাব দীর্ঘদিন থেকে বুঝিয়ে দিচ্ছে না ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। উল্লেখ্য, ওই বিদ্যালয়ের সরকারী নারী শিক্ষক ও পিয়ন না থাকায় ছাত্রীদের অনেক সমস্যার সম্মুখিন হচ্ছে বলে জানা যায়। বিদ্যালয়টি চলছে পুরুষ শিক্ষক ও পুরুষ পিয়ন দিয়ে।