এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। রক্ত রাঙা শিমুল ফুলে গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে জানান দিচ্ছে ফাগুন এসেছে ফিরে। বিশ^ কবি রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের ফালগুন কবিতা মনে করিয়ে দেয়। “ফালগুন বিকশিত কাঞ্চন ফুল, ডালে ডালে পুঞ্জিত আ¤্র মুকুল, চঞ্চল মৌমাছি গুঞ্জরী গায়, বেনুবনে মর্মে দক্ষিণ বায়--” ষড়ঋতুর বাংলায় শীতের জরাজীর্নতাকে ঝেড়ে ফেলে বসন্তের শুরুতেই অপরূপ রূপে প্রকৃতিকে সাজাতে আসছে ঋতুরাজ বসন্ত। গাছের ডালে ডালে ফুটেছে আগুন রাঙ্গা লাল শিমুল ফুল। গাছে গাছে সবুজ পাতা, মুকুল আর ফুল আর কোকিলের ডাক মনে করিয়ে দেয় বসন্তের আগমনি বার্তা। আমসহ, লিচু লেবু ও বিভিন্ন গাছের পাতা ও মুকুল দেখে বোঝা যায় শীত বিদায় নিয়ে আবার এলো ফাগুন, এলো বসন্ত। কিন্তু কালের বিবর্তনে গ্রাম বাংলার প্রকৃতি থেকে এখন বিলুপ্তির পথে মূল্যবান শিমুল গাছ। তাই আগের মত খুব একটা চোখে পড়েনা ফাগুনের রঙে রাঙানো রক্তলাল শিমুল গাছ। ঋতুরাজ বসন্তের শুরুতেই শিমুল ফুলের স্বর্গীয় সৌন্দর্য্যে নান্দনিক হয়ে উঠেছে প্রকৃতি। বসন্ত এলেই যেনো প্রকৃতির ভালোবাসার কথা জানান দিতে প্রকৃতিকে লাল করে দিয়ে হেঁসে উঠে শিমুল ফুল। ঋতু চক্রের আবর্তনে শিমুল ফুল তার মোহনীয় সৌন্দর্য্য নিয়ে আবারো হাজির হয়েছে প্রকৃতির মাঝে। শিমুল ফুলের লাল আবীর বসন্তকে দিয়েছে এক অন্যমাত্রা। প্রকৃতির এই অপরূপ রঙ্গের সাজ দেখে চোখ জুড়িয়ে যায়। তবে আধুনিকতার ছোয়ায় ও উন্নয়নের ধারায় প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে এ গাছটি এখন বিলুপ্তি পথে। গ্রাম বাংলার পথে প্রান্তরে এখন তেমন একটা শিমুল গাছ চোখে পড়ে না। কয়েক বছর আগেও গ্রামের মেঠোপথে ও বাড়ির আঙ্গিনায় কম বেশী দেখা যেতো শিমুল গাছ। শিমুল ফুল শুধু সৌন্দর্য্য বর্ধনই করে না। শিমুল গাছের রয়েছে নানা উপকারিতা।