নওগাঁর মান্দায় গভীর নলকূপের ঘরে তালা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে উপজেলার মৈনম ইউনিয়নের দক্ষিণ মৈনম অযোধ্যাপাড়া গ্রামে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আহতরা হলেন, দেলোয়ার হোসেন (৪৮), আবদুস সামাদ (৫৫), আনোয়ার হোসেন মোল্লা (৫০), সামছুর রহমান (৬০), আবদুর রশিদ (৩০), আলমগীর হোসেন (৩০), আবদুল মালেক বিশ্বাস (৬৫), আবদুর রহিম বিশ্বাস (৫৫), ইসমাইল হোসেন বিশ্বাস (৫০) ও আবদুস সালাম বিশ্বাস (৪০)। আহতদের উদ্ধার করে মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আবদুস সামাদ ও আবদুর রহিম বিশ্বাসের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দক্ষিণ মৈনম গ্রামের কৃষক তাপস কুমার জানান, মৈনম ইউনিয়নের দক্ষিণ মৈনম মৌজায় প্রায় ২৭ বছর আগে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ একটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে। শুরু থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত এ নলকূপের অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী রশিদা বেগম। চলতি মৌসুমে একই গ্রামের বিশ্বাস পরিবার অপারেটর পরিবর্তনের দাবি করে। এনিয়ে অপারেটরসহ মাঠের কৃষকদের সঙ্গে বিশ্বাস পরিবারের বিরোধ সৃষ্টি হয়। একই গ্রামের কৃষক আবদুর রশিদ বলেন, মাঠে পানি ছাড়ার পর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি গভীর নলকূপের ঘরে তালা দেন বিশ্বাস পরিবারের লোকজন। এরপর থেকে গভীর নলকূপটি বন্ধ ছিল। ভয়ে অপারেটরও নলকূপটি আর চালু করেননি। এ অবস্থায় শনিবার সকালে মাঠের কয়েকজন কৃষক তালা ভেঙে নলকূপটি চালু করে। কৃষক আবদুর রশিদ আরও বলেন, গভীর নলকূপের তালা ভাঙার সংবাদে বিশ্বাস পরিবারের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে কৃষকদের ওপর হামলা করে। এতে উভয়পক্ষের সংঘর্ষে ১০জন আহত হন। এদিকে গভীর নলকূপের ঘরে তালা লাগানোর বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আবদুল মালেক বিশ্বাস কোনো কথা বলতে রাজি হননি। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে কোনো পক্ষই থানায় অভিযোগ করেননি। ওসি আরও বলেন, গভীর নলকূপ নিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।