মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় কিশোর গ্যাং নিঝুম বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে সংবাদ সম্মেলন করেছে স্থানীয়রা। শনিবার বিকালে গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের ইসমানিরচর খেলার মাঠে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে কিশোর গ্যাং নিঝুম বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছে এমন অর্ধশত পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। স্থানীয়রা জানান,গজারিয়া উপজেলার হোসেন্দী ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে নিঝুম ১৯ বছর বয়সে স্থানীয় বিপথগামী তরুণদের নিয়ে একটি গ্যাং গড়ে তোলে। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যা, মাদক, মারামারি, ইভটিজিং-সহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ১৭টি মামলা আছে। ২০২১সালের ১৫ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সাজেদুল ইসলাম মীম (২২)নামে এক তরুণকে আটকে রেখে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে তার কিশোর গ্যাং। তারপর একের পর এক স্থানীয় লোকদের উপর তার বাহিনীর অত্যাচারের ঘটনায় অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। সংবাদ সম্মেলনে তার বক্তব্যে নিহত সাজেদুল ইসলাম মীমের মা জেসমিস বেগম বলেন, শুধুমাত্র তার কথা না শোনায় ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর মাঠে সবার সামনে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় মীমকে। এ ঘটনায় আটক হয়ে কিছুদিন জেলে থাকলেও জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে নিঝুম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আবেদন আপনারা দ্রুত এদের আইনের আওতায় আনুন। আরেক ভুক্তভোগী সোহেল রানা বলেন, তারা আমাকে হত্যা করার উদ্দেশ্য গুলি করেছিল অল্পের জন্য আমি প্রাণে বেঁচে যাই। আমার দায়ের করা মামলায় কিশোর গ্যাং লিডার নিঝুমসহ তার দলের সদস্য আতাউর, সংগ্রাম মোল্লা-সহ কয়েকজনের নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু হয়েছে। মীম হত্যা মামলা মামলা, ফারুক হত্যা মামলা, হানিফ হত্যা মামলায় তারা এজাহার নামীয় আসামি। এদের অত্যাচার এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। বাধ্য হয়ে আজকে আমাদের সংবাদ সম্মেলন। আরেক ভুক্তভোগী নারী বলেন, আমার স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে আমাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে নিঝুম। অসংখ্য নারী তার অত্যাচারের শিকার।