মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধানের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় ইউনুস প্রধান-সহ আহত হয়েছে অন্তত ৩ জন। আহতরা হলো গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধান (২৫), তার চাচাতো ভাই আফিস (২২) ও মুক্তার হোসেনের বড় ভাই গজারিয়া উপজেলা শ্রমিক লীগের একাংশের সভাপতি আনোয়ার হোসেন (৪৫)। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় শ্যামলী বাস কাউন্টারের সামনে গজারিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধানের উপর হামলা চালায় ভবেরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেনের সমর্থকরা। হামলাকারীরা তাকে এবং তার চাচাতো ভাই আসিফকে পিটিয়ে আহত করে। এদিকে ইউনুস প্রধানের উপর হামলার খবরে তার সমর্থকরা পাল্টা হামলা চালালে আহত হয় মুক্তার হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন। হামলায় আহত উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধান বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি মুন্সীগঞ্জ ৩ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাসের পক্ষে ছিলাম। মুক্তার হোসেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী ফয়সাল বিপ্লবের পক্ষে কাজ করেছেন। নির্বাচনের সময় তারা নানাভাবে আমাকে হুমকি-ধমকি দিয়েছে। নির্বাচনের অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস পরাজিত এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর ফয়সাল বিপ্লব বিজয়ী হওয়ায় তারা আমার উপর ক্ষুব্ধ ছিলো। ওই ঘটনার জের ধরেই আজকের এই হামলা। আহত শ্রমিকলীগ একাংশের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, কে কার উপর হামলা করেছে আমি কিছুই জানতাম না। ভবেরচর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় আমি দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে কিছু লোক কিল ঘুষি মারতে থাকে। আহতদের মধ্যে ইউনুস প্রধান এবং আসিফকে গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। অপর পক্ষের আহত আনোয়ার হোসেন স্থানীয় একটি ফার্মেসি থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা.কামরুল নাহার বলেন, শুক্রবার রাত ৮ টা ১৫মিনিটের দিকে আমাদের হাসপাতালে দুজন রোগী নিয়ে আসা হয়। তার মধ্যে আসিফ নামে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে। আহত অপরজন ইউনুস প্রধানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের কারো আঘাতই গুরুতর নয়। বিষয়টি সম্পর্কে গজারিয়ার থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাজিব খান বলেন, সংঘর্ষের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পুলিশ দুই পক্ষকেই সরিয়ে দিয়েছে। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস প্রধানকে উদ্ধার করে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসার জন্য গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ জন্য রাসেল নামে একজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত কিন্তু আমার কাছে এখনো পর্যন্ত কোনো প্রকার অভিযোগ আসেনি আমি ঘটনাস্থল থেকে রাসেল নামে একজনকে এনেছি তাকে ফিফটি ফোরে মুন্সিগঞ্জ জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।