খুলনার পাইকগাছায় হত দরিদ্রের বন্দবস্ত প্রাপ্ত ৩ বিঘা জমিতে চিংড়ি ঘেরের বাসাবাড়ি ভাংচুর করে ঘের দখলের অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ২০ ফেব্রয়ারী উপজেলার গোপালপুর গ্রামে ১ নম্বর ওয়ার্ডের শিববাটি এলাকায়। এ ঘটনায় রোববার দুপুরে ক্ষতিগ্রস্ত হাসিনা বিবি পাইকগাছা প্রেক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেন। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন, আমি ভুমিহীন কৃষক হিসাবে সরকারি নীতিমালা মোতাবেক ১৯৯২ সালে পাইকগাছা উপজেলাধীন শিববাটি মৌজায় ৩ বিঘা জমি বন্দোবস্ত মূলে প্রাপ্ত হই। ওই জমি ভোগদখলে থাকি। বর্তমান জরীপে আমার নামে চুড়ান্ত রেকর্ড হইযাছে এবং সরকারি কর-খাজনা পরিশোধ রয়েছে। ইতঃপূর্বে পাইকগাছা পৌরসভা, পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মনিরুল ইসলাম, মন্টু গাজী সহ অনেকেই জমি জবর দখলের চেষ্টা করে। তখন আমি তাদের বিরুদ্ধে পাইকগাছা সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার মামলা করি। মামলাটি বিচারধীন আছে ও বিবাদীদের বিরুদ্ধে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয় আদালত। এ অবস্থায় তারা প্রকাশ্যে বিরোধীতা না করে গোপণে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। এ বছর আমি আমার পুত্র আজিবার রহমান একত্রে আমার জমিতে ২টি বাসাবাড়ি নির্মাণে বিভিন্ন প্রজাতির পোনা মাছ ছাড়িয়া মৎস্য লীজ ঘের পরিচালনা করিতেছি। ঘেরের মৎস্য ধরার উপযোগী হইয়াছে। মনিরুল ইসলাম মন্টু ও ইসলাম গাজী যোগাযোগে মো. মঈনুল ইসলাম বাবু, বুলবুল গোলদার, রিপন গোলদার, শরিফুল ইসলাম, শামীম গাজী, সালাম সরদার, মো. ফারুক, কামাল সরদার-সামজেদ সরদার, ইমরান গাজী, দা, লাঠি, সাবল, লোহার রড নিয়ে গত ২ ফেব্রয়ারী আমার লীজঘেরে ঢুকে বাসাবাড়ি ভাংচুর করে। ওই সময় আমার পুত্র আজিবার রহমান বাঁধা দিলে বুলবুল গোলদার তার হাতে থাকা ধারালো দা দিয়ে আমার ছেলেকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় দা ধরে। অন্যান্যরা তাকে চড়, কিল ও ধাক্কা মারতে থাকে। তখন আমি ও আমার পুত্রবধূ তাদেরকে বাঁধা দিলে তারা আমাকেও আমার পুত্র বধূকে চড়, কিল, লাথি মারিয়া গলা ধাক্কা দিয়া ও লাঠি পেটা করিয়া লীজ ঘের থেকে তাড়াইয়া দেয়। এরপর তারা আমার বাধা ২টি বাসা-বাড়ি ভাংচুর করিয়া ক্ষতিসাধন এবং মাছ ধরিয়া প্রায় দুই লক্ষ টাকার ক্ষতি করে। বর্তমানে তারা লীজ ঘেরটি দখলে রাখিয়া বাসা-বাড়ি নির্মাণ করিয়া মাছ ধরিতেছে।