শেরপুরের শ্রীবরদীতে বিপ্লব (১৬) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করেছে। রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন- আরিফ, মোখলেস, মনির ও ডিপটি। জানা গেছে, বিপ্লব পার্শ্ববর্তী জামালপুর জেলার বকশিগঞ্জ উপজেলার দড়িপাড়া গ্রামের কাবিল মিয়ার ছেলে। সে শ্রীবরদী উপজেলার দহেরপাড় গ্রামে নানা হাজি আব্দুল মজিদের বাড়িতে থেকে স্থানীয় মোহাম্মদ আলী মেমোরিয়াল বিদ্যানিকেতনে পড়াশোনা করতো। এবার সে এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছিল। শ্রীবরদী থানা সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে শ্রীবরদী উপজেলার মামদামারি কান্দাপাড়া ইবতেদায়ী মাদরাসায় ওয়াজ শুনতে আসে বিপ্লব। এখানেই পার্শ্ববর্তী চরশিমুলচুরার মোশাররফ হোসেন নুদার ছেলে ও স্থানীয় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা আরিফ হোসেন এবং তার সঙ্গীদের সঙ্গে বিপ্লবের কথা কাটাকাটি হয়। পরে ওয়াজ শুনে নানার বাড়ি ফেরার পথে আরিফ ও তার সহযোগীরা বিপ্লবের ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে ও ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এরপর বিপ্লবকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রথমে শ্রীবরদী উপজেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সে সামবার ভোরে কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বজনদের অভিযোগ, চরশিমুলচুরায় কিশোর গ্যাং গঠন করে অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। তারা এসব সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছেন। শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম সিদ্দিকী বলেন, এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। দোষী সবাইকে ধরতে অভিযান চলছে।