চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে খাদ্যের সন্ধানে লোকালয়ে এসে বিপন্ন প্রজাতির একটি মেছোবাঘ পাতা ফাঁদে আটক হয়েছে। গত রবিবার উপজেলার গুমাণমর্দ্দন ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের একটি মুরগির খামার থেকে বাঘটি আটক করা হয়েছে। পরে বাঘটি বস্তা বন্ধী করতে গিয়ে বাঘটি পালিয়েছে। ফার্মের মালিক এই ওয়ার্ডের হোসেন কাজীর বাড়ির আমির আহমদের পুত্র আবদুল হালিম জানান, তার মুরগী ফার্মে গত বেশ কিছুদিন ধরে মুরগী কমে যাচ্ছিলো। তিনি ধারনা করেছিলেন হয়তো বিড়াল বা শেয়াল গভীর রাতে ফার্মে ঢুকে মুরগী খেয়ে ফেলছে। কিন্তু কিছুদিন পূর্বে প্রতিদিনের মতো সকালে ফার্মে এসে মুরগী কমে যাওয়ার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি মৃত মুরগী এবং ফার্মের আশেপাশে ভিন্ন রকম পশম দেখতে পেলে তার সন্দেহ হয়।তাই ফার্মে তিনি বড় আকারের একটি খাঁচা তৈরী করে সেটাকে গত শনিবার রাতে ফাঁদ পেতে দিয়ে বাড়িতে চলে যান। পরে গত রবিবার সকালে ফাঁর্মে এসে দেখেন ওই খাঁচায় বড় আকারের একটি মেছো বাঘ আটকে আছে। এদিকে মেছোবাঘ আটকের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে এলাকার মানুষ বাঘটিকে একনজর দেখতে হালিমের ফার্মে ভিড় জমায়। স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদ বিকাল ঘটনাস্থলে এসে খবর নিয়েছেন বলেও জানান তিনি। স্হানীয়া জানান, যারা বাঘটি বস্তা ভর্তি করে নিতে এসেছেন, তেমন অভিজ্ঞ না। যদি অভিজ্ঞ হতেন তবে সেটি তাদের ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যেতে পারতেন না। আর তারা যে নেট নিয়ে আসছিলেন সেটিও ছিলো দুর্বল যার কারনে সেটি সহজেই পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। বর্তমানে এলাকার মানুষ চরম আতংকে আছেন বলেও জানান তারা। গুমাণমর্দ্দন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো.মুজিবুর রহমানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমিও মেছোবাঘ আটকের খবরটি শুনেছিলাম। জানতে চাইলে উপজেলা রেঞ্জ কর্মকর্তা সাইফুল বলেন, আমরা খবর পাওয়া মাত্র খবরটি ওয়াল্ডলাইফ ডিভিশনকে ইনফর্ম করি। কিন্তু ওনারা কেউ যাননি, যখন আবার খবর পেলাম প্রায় সন্ধ্যার দিকেও তিনারা যাননি, বিষয়টি অবহেলা করছেন তখন আমরা লোকাল রেসকিউ টিমকে সাথে নিয়ে আমাদের কিছু লোকজন গিয়ে মেছোবাঘটি রেসকিউ করার সময় নেট ছিড়ে স্থানীয় জঙ্গলে চেেল গেছে। বন্যপ্রাণী হতাহত বা আঘাত ছাড়া অবমুক্ত হয়েছে এটাই শুকরিয়া বলেও জানান তিনি। হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবিএম মশিউজ্জামান জানান, মেছোবাঘটিকে রেসকিউ করার সময় নেট ছিড়ে স্থানীয় জঙ্গলের দিকে পালিয়ে গেছে বলে শুনেছি।