টাঙ্গাইলের সখীপুরে নিজ রান্নাঘর থেকে আব্দুস সামাদ (৫৫) নামের এক কৃষকের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার রাতে উপজেলার বড়চওনা ইউনিয়নের দাড়িপাকা পশ্চিম পাড়া এলাকা থেকে সখিপুর থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে।এদিকে ঘটনার পর থেকেই নিহত আব্দুস সামাদের ছেলে ওয়াহেদুজ্জামান (৩০) পলাতক রয়েছেন। পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের ধারণা, বাবাকে হত্যা করে ওয়াহেদুজ্জামান পালিয়ে গিয়েছে। এ ঘটনায় সোমবার সকালে নিহতের ছোট ভাই আব্দুর রশিদ বাদী হয়ে ভাতিজা ওয়াহেদুজ্জামানকে একমাত্র আসামি করে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নিজ বাড়ির রান্নাঘরে আবদুস সামাদকে রক্তাক্ত অবস্থায় মৃত পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়রা আরও জানান, ছেলে ওয়াহেদ মাদকাসক্ত। আগেও তিনি পরিবারের অন্য সদস্যদের মারধর করেছেন। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে বাড়িতে দেখেছে অনেকেই কিন্তু ঘটনার পর থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। সম্ভবত কোনো কারণে ওই ছেলেই আব্দুস সামাদকে আঘাত করে অবস্থা বেগতিক দেখে পালিয়ে যান। এ বিষয়ে সখীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান জানান, নিহতের মাথায় ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।তিনি আরও জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গা ইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে, আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে মরদেহ স্বজনদের নিকট হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন। আসামি ওয়াহেদুজ্জামান পলাতক রয়েছে,তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।