বরিশালের মুলাদীতে পূর্বশত্রুতা ও আধিপত্যের জেরে পেট্রোল ঢেলে প্রতিপক্ষের বসত ঘরে আগুন দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার বাটামারা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী চিঠিরচর গ্রামের মজিবুর বালীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। পার্শ্ববর্তী মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার কালাই সরদারের চর গ্রামের আব্দুল মালেক ঢালীর নেতৃত্বে ২০-২২জন লোক ঘর পুড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন মজিবুর বালীর ছেলে প্রিন্স বালী। ওই সময় চিঠিরচর এলাকায় থেমে থেমে ৩৫-৪০টি হাতবোমা বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়।
বিস্ফোরণ ও মালামাল লুটের সংবাদ পেয়ে বাটামারার জাগরনী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। ঘটনার পরে ওই এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
প্রিন্স বালী জানান, 'জমা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আব্দুল মালেক ঢালী ও তার লোকজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিলো। এছাড়া তারা এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেন। স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির প্রতিবাদ করায় আব্দুল মালেক ঢালীর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়। মঙ্গলবার রাত ৯ টার দিকে আব্দুল মালেক ঢালী, আলী ঢালী, জাহাঙ্গীর ঢালী, তোতা মোল্লা, আকাশ ঢালী, আব্দুর রাজ্জাকসহ ২০-২২ জন লোক হাতবোমা ও রামদা, লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ঘরের দারজা ভেঙে প্রবেশ করে আমার মা আলেয়া বেগমকে মারধর করে ঘরের মালামাল নিয়ে যায়। পরে তারা ঘরের বেড়া ও চালায় পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। ওই সময় আগুন দেখে আশপাশের লোকজন বের হলে তারা ৩৫-৪০টি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।'
চিঠিরচর বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. খালেক সরদার জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে থেমে থেমে অনেকগুলো হাতবোমা বিস্ফোরনের শব্দ হয়েছে। বিষ্ফোরণ শব্দে এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরলে পুলিশে সংবাদ দেওয়া হয়। পরে জাগরনী ফাঁড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে বিস্ফোরণ শব্দ থেমে যায়।
এব্যাপারে আব্দুল মালেক ঢালীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।
আব্দুল মালেক ঢালীর স্ত্রী অজুফা বেগম জানান, 'আমার স্বামী কিংবা তার লোকজন কেউ এলাকায় নেই। আমাদের ফাঁসাতে মজিবুর বালীর লোকজন হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে নিজেদের ঘরে আগুন দিয়েছেন।'
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জাকারিয়া জানান, হামলা ও বিস্ফোরণের সংবাদ পেয়ে রাতেই চিঠিরচর এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।