ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ভদ্রডাঙ্গা গ্রামে স্ত্রী কে মারতে গিয়ে ছেলের বটির আঘাতে মা পায়রা খাতুনের (৬১) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার সকালে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়। নিহত পায়রা খাতুন সের আলী মন্ডলের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হাসেম আলী গা ঢাকা দিয়েছেন। এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে গত ২৫ শে ফেব্রয়ারী দুপুরে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামী হাসান আলীর ঝগড়া হয়। ঝগড়া থামাতে মা এগিয়ে আসলে তার বটির আঘাতে মা গুরুত্বর ভাবে আহত হয়ে নিজবাড়িতে চিকিৎসা রত থাকা অবস্থায় আজ সকালে মারা যায়। এব্যাপারে রামচন্দ্রপুর পুলিশ ফাড়ির এসআই নাজিম উদ্দীন জানান, শবে বরাতেন দিন (২৫ফেব্রুয়ারি) স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ায় লিপ্ত হন ছেলে হাসেম আলী। ঝগড়া থামাতে মা পায়রা খাতুন এগিয়ে আসেন। এ সময় হাসেম তার স্ত্রীকে লক্ষ্য করে ঘাসকাটা বটি ছুড়ে মারেন। বটির আঘাতে স্ত্রীর পরিবর্তে মা ক্ষত বিক্ষত হন। আঘাত জনিত কারণে পায়রা খাতুনের মৃত্যু হতে পারে। স্থানীয় ত্রিবেনী ইউনিয়নের মেম্বর আব্দুল লতিফ বৃহস্পতিবার দুপুরে জানান, পায়রা খাতুনের আঘাতের পরও তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা প্রদান করা হয়নি। ফলে ডায়াবেটিক রোগ থাকায় স্বাস্থ্যে অবনতি ঘটে এবং আহত হওয়ার তিনদিন পর বৃহস্পতিবার সকালে মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আরো বলেন, পায়রা খাতুনের বাম পা, হাটু, থোড়া ও বুকে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ত্রিবেনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেকেন্দার আলী মোল্লা জানান, বিষয়টি আমি লোকমুখে শুনে পুলিশকে জানিয়েছি। শৈলকুপা থানার ওসি সফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, পায়রা খাতুনের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, আঘাত জনিত কারণে মৃত্যু হলে ছেলের বিরুদ্ধে আইনগ ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।