ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ পৌর শহরের কালীবাড়ির সামনে তিন মাথার রাস্তার মাঝখানে মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, রিক্সা পার্কিং করে শহরের মধ্যে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি করছে। শহরটির চিত্রা নদীর উপর নব নির্মীত ব্রীজটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার মধ্য দিয়ে শহরবাসীর দীর্ঘদিনের দূর্ভোগের লাঘব হয়েছে। কিন্তু কিছু বিবেকবর্জীত মানুষের কান্ডজ্ঞানহীনের মতো গাড়ি পার্কিং কারণে নতুন করে আবারও জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে। কালীবাড়ি তিন রাস্তার মোড় থেকে একটি রাস্তা নলডাঙ্গা বাজার হয়ে ঝিনাইদহ শহরে গেছে কালীগঞ্জ বাজার এবং হাসপাতাল সড়ক অভিমুখে, একটি থানা রোড হয়ে নিমতলা বাসস্ট্যান্ড অভিমুখে এবং একটি ব্রীজ পার হয়ে মেইন বাসস্ট্যান্ড অভিমুখে চলে গেছে। প্রতিদিন এই সড়ক গুলো ব্যবহার করছেন এই শহরের হাজারো মানুষ। এই সড়ক গুলোতে চলছে ব্যক্তিগত ছোট বড় অনেক যানবাহন। কিন্তু রাস্তার মাঝখানে সহ যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং কিংবা হকারদের ফুটপাত দখল করে দোকান বসানোর কারণে পথচারীর চলাচল এবং যানচলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে শহরের মধ্যে। আতাউর নামের এক ইজিবাইক চালক জানান, কালীবাড়ির মোড়ে বিশাল জ্যাম লেগেছে। রাস্তায় অনেকক্ষন বসে আছি। মনে করলাম ব্রীজ চালু হয়েছে এখন একটু যানজট মুক্ত অবস্থায় চলাচল করা যাবে। তা আর হলো না। দেখেন অনেকেই রাস্তার উপর গাড়ি রেখে দিয়েছে। এটা কিন্তু ঠিক না। রাস্তার মাঝখানে গাড়ি রাখায় ইদানিং যানজট ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। রুপালী স্টোরের সত্ত্বাধিকারী মোঃ সোহেল রানা বলেন, আমার দোকানের সামনে দীর্ঘদিন ধরে (ব্রিজের কাজ শুরু হওয়া থেকে) সাইকেল, মোটর সাইকেল, ভ্যান, রিক্সা পার্কিং করা থাকে। ব্রীজ চালু হওয়ার পরেও রাস্তার মাঝখানে গাড়ি পার্কিং করে রেখেছে। এতে করে সবসময় যানজট লেগে থাকে। ফলে ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দে দোকানে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে আমিসহ আশেপাশের ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। তাই অতিসত্ত্বর যথাযত কর্তৃপক্ষের এ ব্যাপারে নজর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, রাস্তার মাঝে গাড়ি পার্কিং করে যানজটের সৃষ্টির ব্যাপারটি আমার নজরে এসেছে। অতিসত্ত্বর অবৈধ ভাবে পার্কিং এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।