জনদুর্ভোগ লাঘবে পাবনার সাঁথিয়া পৌর মেয়রের উদ্যোগে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে মাধপুর-বেড়া সড়কের গাগড়াখালী ডোবা(ধও) নামক স্থান থেকে কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শনিবার (২মার্চ) পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু নিজে উপস্থিত থেকে স্থানীয় বান্দিাদের সঙ্গে নিয়ে কচুরিপানা অপসারণের উদ্বোধন করেন। জানা গেছে, সাঁথিয়া পৌরসভাধীন মাধপুর-বেড়া সড়কের গাগড়াখালী ডোবা(ধও) নামে পরিচিত ওই জায়গায় একটা সেতু ছিল। ১৯৮৮ সালের বন্যার সময় রাতে ওই সেতু ভেঙ্গে পানির তলদেশে চলে যায়। ফলে সেখানে প্রায় ৩০-৩৫ বিঘা এলাকা জুড়ে বিশাল ডোবার (ধওয়ের) সৃষ্টি হয়। সেখানে পানির গভীরতা হয় প্রায় ৫০ থকে ৬০ফুট। শুস্ক মৌসুমে খালবিলের পানি শুকিয়ে গেলেও ওই জায়গার পানি শুকায় না। ফলে ওই জায়গাটা গাগড়াখালি ধও নামে পরিচিতি লাভ করে। এ ডোবায় সারাবছর পানি থাকায় জনগণের সুবিধার্থে উপজেলা পরিষদ থেকে একটি পাকা সিড়িঘাট করে দেওয়া হয়। ফলে ওই ডোবার পানিতে স্থানীয়রা গোসল, গৃহস্থলীর কাজকর্ম, গবাদি পশুর গোসল, পাট জাগ দেওয়া ও কৃষকের চাষাবাদসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করে থাকেন। বেশ কিছু বছর ধরে ওই ডোবাটি কচুরিপানায় ছেয়ে থাকে। এতে ওই ডোবার পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গাগড়াখালীসহ আশপাশের কয়েক গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। ফলে কচুরিপানা পচে যাওয়ায় বিষাক্ত দুর্গন্ধযুক্ত ওই পানি ব্যবহারে মানুষের শরীরে নানা চর্মরোগসহ পানিবাহিত রোগ দেখা দেয়। জনদুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে পৌর মেয়র মাহবুবুল আলম বাচ্চু এলাকাবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে কচুরিপানা অপসারণের উদ্যোগ নেন। সাঁথিয়া পৌর সভার সাবেক কমিশনার কামরুজ্জামান ঝুনু, গাগড়াখালী গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ, সালাহ উদ্দিনসহ অনেকে জানান কচুরিপরনার কারণে আমরা খুবই দুর্ভোগে ছিলাম। পৌর মেয়রের এ মহতি উদ্যোগ নিয়ে কচুরিপানা অপসারণ করায় তাকে সাধুবাদ জানাই। এ সময় আ’লীগ নেতা রবিউল করিম হিরু, সাঁথিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মানিক মিয়া রানা, প্যানেল মেয়র আব্দুল হামিদ,আফছার উদ্দিনসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কর্মীসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উপস্থিত ছিলেন।