রংপুরের পীরগাছায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে নকলের ছড়াছড়ির অভিযোগ উঠছে হাজী ছফের উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে। গতকাল রোববার ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মেয়েকে নকল সরবরাহ করতে গিয়ে আটক এক অভিভাবককে ৪ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় এক পুলিশ সদস্য আহত হয়। এছাড়াও কক্ষের ভিতরে কক্ষ পরিদর্শকরা নকলে সহায়তা করছেন বলে জানা গেছে। জানা গেছে, পীরগাছা হাজী ছফের উদ্দিন সিনিয়র মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্রে ইংরেজি প্রথম পত্র পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কক্ষের ভিতর ব্যাপক নকল করার অভিযোগ উঠে। কেন্দ্রের বাইরে থেকে একটি কাগজে ৫টি প্রশ্নের উত্তর লিখে ফটোকপি করে নিজ মেয়েসহ অন্যদের সরবরাহ করতে গেলে কর্তব্যরত পুলিশ নকল সহ ছফির উদ্দিন (৫২) নামে একজনকে আটক করে। এসময় ধস্তাধস্তিতে সোহেল রানা নামে ওই পুলিশ সদস্য আহত হন। আটক ছফির উদ্দিন পাশর্^বর্তী সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্রামের দিয়ানত উল্লাহর ছেলে এবং পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের নন এমপিওভূক্ত রহমতের চর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক বলে জানা গেছে। তার নিকট ৯টি উত্তরপত্রের ফটোকপি পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুল হক সুমন ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ছফির উদ্দিনকে বিনাশ্রম ৪ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। পরে থানা পুলিশ দন্ডপ্রাপ্তকে রংপুর জেল হাজতে প্রেরণ করেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্র সচিব ও উপজেলা ভেটেনারী সার্জন মোহাম্মদ আলী বলেন, আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আব্দুর সাত্তারকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে কেন্দ্র সচিব অতিরিক্তি দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও সমাজসেবা কর্মকর্তা এনামুল হককে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী পরীক্ষাগুলো সুষ্ঠু ভাবে নেওয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করছি।