মাদারীপরের কালকিনিতে চাষ হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের কৃষি পন্য। এর মধ্যে রয়েছে সুপারফুড চিয়া (বীজ) সিড, স্ট্রবেরি ও রঙিন ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি। এ নতুন সবজি চাষের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অনেেেকই দেখার জন্য জমিতে ভিড় জমান। এদিকে আন্তর্জাতিক মানের কৃষি পন্য চাষ করার জন্য সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে আসছেন উপজেলা প্রশাসন। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চাষিরা চিয়া সিড (বীজ), স্ট্রবেরি ও রঙিন ফুলকপিসহ আন্তর্জাতিক মানের বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করে আসছেন। এ নতুন সবজি চাষের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অনেেেকই দেখার জন্য জমিতে ভিড় জমান। এদিকে আন্তর্জাতিক মানের কৃষি পন্য চাষ করার জন্য সরেজমিনে গিয়ে কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে আসছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ^াস। উপজেলার সাহেবরামপুর ইউনিয়নের আন্ডারচর গ্রামের প্রবাস ফেরত কৃষক কাঞ্চন বেপারী জানান, উপজেলা কৃষি বিভাগের পরামর্শে এই নতুন ফসল চাষ করছি। কৃষি বিভাগ বীজ সরবরাহ করেছে এবং চাষ পদ্ধতি শিখিয়ে দিয়েছে। 'এর আগে এই ফসল কোনোদিন দেখিনি। কৃষি বিভাগ থেকে জেনেছি, এই ফসল মানব শরীরের জন্য খুবই উপকারী। বাজারে এই ফসলের মূল্য অনেক বেশি। ভালো ফলন ও বাজার সুবিধা পেলে আগামীতে আরও বেশি জমিতে এই ফসল চাষ করব'। তবে এ ফসলে খরচের তুলনায় লাভ অনেক বেশি । কৃষক দিদার হাওলাদার বলেন, আমি রঙিন ফুলকপি চাষ করেছি। আশানুরূপ ফলন অনেক ভালো হয়েছে। আগামীতে আরও বেশি জমিতে চাষ করবো। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মিল্টন বিশ^াস বলেন, 'এখানের মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আশানুরূপ চিয়া সিড (বীজ), স্ট্রবেরি ও রঙিন ফুলকপিসহ বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক মানের সবজি উৎপাদনের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। তাই কৃষকদের মাঝে বিনা মূল্যে সার ও বিজ বিতরন করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশে এই ফসল আবাদ হলে আর বিদেশ থেকে আমদানী করতে হবে না। বরং পরিকল্পিতভাবে এই ধরনের ফসল আবাদ করতে পারলে এটি বিদেশে রপ্তানী করাও সম্ভব হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উত্তম কুমার দাশ বলেন, আন্তর্জাতিক মানের কৃষি পন্য চাষ করার জন্য সরেজমিনে গিয়ে আমি কৃষকদের উৎসাহ দিচ্ছি।