বাগেরহাটের চিতলমারীতে দুই শতাব্দির পুরনো মসজিদ পুন: নির্মানের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে দেশও দেশের বাহিরে থাকা সকল ধর্মপ্রাণ মুসলিম ভাই, বোনদের প্রতি আর্থিক অনুদানের জন্য সবিনয় অনুরোধ জানানো হয়েছে। ১৮১০ সালে স্থাপিত, বাগেরহটের চিতলমারী উপজেলার উত্তর শিবপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ নামের এই মসজিদটির টিন সেডের জরাজীর্ণ অবকাঠামোটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। বর্তমান পাশে ব্যাক্তি মালিকানা জায়গায় অস্থায়ী ভাবে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করছেন। মুল মসজিদে জায়গার সংকুলন না হওয়ায় সেখানে দ্রুত তিন তলা ফাউন্ডেশন দিয়ে নির্মান কাজের উদ্বোধন করা হবে। ব্যায় বহুল এ নির্মান কাজের জন্য দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাই-বোনদের কাছে দোয়া ও আর্থিক অনুদানের আবেদন করেছেন, মসজিদ কমিটির সভাপতি, সম্পাদক, কোষাধ্যাক্ষ, খতিব ও স্থানীয় মুসল্লিগন। অনুদান পাঠাবার বিকাশ নম্বর ঃ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সভাপতিঃ ০১৭১৮৮০৬০২৫, হাজী মোঃ আকরাম হোসেন, সাধারন সম্পাদকঃ ০১৮৬৮৯২১৬১৭, মোঃ রুহুল আমিন ফকির কোষাধ্যাক্ষঃ ০১৭১৮২৮৭৮৮০। এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, চিতলমারী শাখার হিসাব নং- ১৪০৯৭। প্রিয় বন্ধুগন আমরা জেনে থাকি ; মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যান্ত প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান মসজিদ। মসজিদ আল্লাহর ঘর। আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মণের জন্য দান করলে, যতদিন এই মসজিদে মানুষ ইবাদত বন্দিগী করবেন ততদিন এবং কবরে গিয়েও বান্দা এর সওব পেতে থাকবেন, তাই মুক্তহস্তে দান করুন আমিন। পাশাপাশি মসজিদে ফ্যান দেওয়া, লাইট ব্যবস্থা করা কিংবা মসজিদের এসি ইত্যাদি ব্যবস্থা করে দিলেও এ সওয়াব পেতে থাকবে দানকারী। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আমলনামায় যা থেকে নেকি যোগ হবে তা হলোÑ যদি সে শিক্ষা অর্জনের পর তা অপরকে শিক্ষা দেয় ও প্রচার করে, অথবা সৎ সন্তান রেখে যায়, অথবা ভালো বই রেখে যায়, অথবা মসজিদ নির্মাণ করে যায়, অথবা মুসাফিরের জন্য মেহমানখানা নির্মাণ করে যায, অথবা নদী খনন করে যায়।’ (ইবনে মাজা : ২৪২) এতে বোঝে আসেÑ খাঁটি নিয়তে কেবল আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে গেলে কবরে বসে বসে এসব আমলের সওয়াব পেতে থাকবে বান্দা। তাই সাধ্যমতো বেশি থেকে বেশি মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কারে জান-মাল দিয়ে সহায়তা করা চাই। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন।