পিরোজপুরে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে পিরোজপুর সদরের ঝাউতলা নামক স্থানে বাস-অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ওই ৭ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতদের পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ও বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পিরোজপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর-পাড়েরহাট সড়কের ঝাউতলা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন পিরোজপুর সদর উপজেলার উত্তর শংকরপাশা গ্রামের জাকির হোসেন হাওলাদারের ছেলে নাঈম হাওলাদার (১৯), একই গ্রামের মোসাম্মাৎ মানসুরা বেগম (৫০), জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার হোরেরহাওলা গ্রামের আক্কেল আলী হাওলাদরের ছেলে হেমায়েত হাওলাদার (৫০), একই গ্রামের ইদ্রিস ফরাজীর ছেলে মো. খায়রুল ফরাজী (২০) ও স্বপন। বাকি ২ জনের পরিচয় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। নিহতদের ৬ জনই অটোরিকশাটির যাত্রী ছিলেন। আর বাকি দুইজনের একজন মোটরসাইকেলচালক ও অন্যজন বাসযাত্রী ছিলেন। পিরোজপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আশিকুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিহত বাকি দুজনের নাম-পরিচয় শনাক্তের কাজ চলছে। দুর্ঘটনার কারণ জানিয়ে পিরোজপুর জেলা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন কর্মকর্তা মো. রেজোয়ান হোসেন জানান, দুপুর ১২ টার দিকে পিরোজপুর থেকে পাড়েরহাট যাওয়ার পথে একটি অটোরিক্সা ঝাউতলা নামক স্থানে যাত্রী নামাচ্ছিল। এ সময় পিরোজপুর থেকে ইন্দুরকানীগামী বাসটি ব্রেক ফেল করে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ব্যাটারিচালিত ওই অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলটিকে চাপা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা ৬ যাত্রীসহ মোটরসাইকেল চালক মারা যান। পরে বাসটি রাস্তার পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাসে থাকা যাত্রীদেরও কয়েকজন আহত হন। পিরোজপুর জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক ডাক্তার পার্থ বিশ্বাস বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নাঈম হাওলাদার, মানসুরা বেগম, হেমায়েত হাওলাদার ও মো. খায়রুল ফরাজীর মৃত্যু হয়েছে। অন্য একজন খুলনা নেওয়ার পথে মারা যন। স্থানীয়রা জানান, ঘাতক বাসটি পিরোজপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে জেলার ইন্দুরকানী উপজেলার বালিপাড়ার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।