দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানের্সবাগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী প্রবাসী সেনবাগের মহিন উদ্দিন (৩২) ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুনার মৃতদেহ রোববার দুপুরে সেনবাগের গ্রামের বাড়িতে পৌছলে শুরু হয় দুই পরিবারের সদস্যদের মাঝে শোকের মাতম। এরআগে রোববার সকালে হযরত শাহ জালাল (রা.) আন্তজার্তিক বিমান বন্দর থেকে মহিন উদ্দিন ও তার অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী রুনার মরদেহ গ্রহন করে তার পিতা ও ভাই। এরপর এ্যাম্বুলেন্সে যোগে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মরদেহ সেনবাগের উত্তর মানিকপুর পাটোয়ারী বাড়িতে পৌছলে পরিবারে শুরু হয় শোকের মাতম। দুইজনের লাশ এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় জমান শতশত নারী-পুরুষ। এরপর দুপুর আইটার দিকে বাড়িতে পাশ্চে মাঠে দুইজনের নামাজের জাযনাজা শেষে মরদেহ দুইটি পারিবািরিক কবরস্থানে পাশাপাশি কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহতরা হলেন, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর গ্রামের ইসমাইল পাটোয়ারী বাড়ি হোসেন ভূইয়ার ছেলে মোঃ মহিন উদ্দিন ও ছেলের বৌ কেশারপাড় ইউপির জমাদার বাড়ির মোঃ.লিটনের মেয়ে রুনা আক্তার। গত ৪ মার্চ দিবাগত রাত ১টার দিকে দক্ষিন আফ্রিকার জোহানের্সবাগ স্ট্রেটে সন্ত্রাসীরা মহিন ও তার অন্তঃসত্তা স্ত্রীকে নিজ বাসার সামনে গুলিকরে হত্যা করে। ভাগ্যক্রমে তাদের সঙ্গে থাকা দুই সন্তান মিহা (৫) ও আরাহী (৩) বেঁেচে যায়। পিতা-মাতার লাশ বাংলাদেশে আসলেও দুই শিশু আফ্রিকাঙ রয়ে গেছে। ২০০৬ সালে মহিন উদ্দিন ভূঞা দক্ষিন আফ্রিকায় যায় সেখানে ব্যবসা শুরু করেন। এরপর ২০১৮ সালে বিয়ে করে স্ত্রীকে সেখানে নিয়ে যায়। ৪ মার্চ রাতে একটি অনুষ্ঠান থেকে গাড়ী যোগে নিজ বাসার সামনে নামান সাথে সাথে সন্ত্রাসীরা আফ্রিকার জোহানের্সবাগ স্ট্রেটে মহিন ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে গুলি করে হত্যা করে।