ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শাহিদা প্রাঃ ক্লিনিকে ভূল অপারেশনে সিজারিয়ান রোগীর সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া শিশু বাচ্চার মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ৮ মার্চ শু ক্রবার ফরিদপর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। গৃহবধূ উপজেলার চরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা তোফাজ্ঝেল জোয়ার্দারের মেয়ে ও রাজবাড়ি জেলার পাংশা উপজেলার পাট্টা গ্রামের বাসিন্দা নায়েব আলীর স্ত্রী। গৃহবধু রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শাহিদা প্রাঃ ক্লিনিকে ভর্তি আছে। বাচ্চা মারা যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রবিবার হাসপাতালটিতে রোগের স্বজনদের সাথে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষের সাথে বাগ বিতান্ড হয়। এদিকে ডাঃ কাশমিম সুজনের সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন গৃহবধুর স্বজনরা। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের গৃহবধূ খুশি বেগম (২৩) ৫ মার্চ সিজার অপারেশন করতে আসেন শাহিদা প্রাঃ ক্লিনিকে এরপর ৬ মার্চ সকাল ১০ টায় অপারেশন করেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের ভূয়া মেডিকেল অফিসার পরিচয় দেওয়া ডাঃ কাশমিম সুজন। এই গৃহবধূকে একাই অপারেশন ও অজ্ঞান দেন ডাঃ কাশমিম সুজন। অপারেশন সঠিকভাবে না হওয়ায় অবস্থা বেগতিক দেখে শিশুকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করেন এরপর অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে রেফার করা হলে সেখানে ৮ মার্চ শিশুটির মৃত্যু হয়। ডাঃ কাশমিম সুজনের অপচিকিৎসায় এর আগেও এমন অনেক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। রোগীর ভাই আশরাফুল ইসলাম বলেন, আমার বোনকে শাহিদা প্রাঃ ক্লিনিকে সিজার অপারেশন করার জন্য ভর্তি করি। অপারেশন করেন ডাঃ কাশমিম সুজন এরপর অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে বলেন বাচ্চার ফুল ছিড়ে গেছে এই বলে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে রেফার করে। এরপর সদর হাসপাতাল থেকে ফরিদপুর মেডিকেলে রেফার করলে ওখানে শিশুর মৃত্যু হয়। ডাঃ কাশমিম সুজনের অবহেলার কারনে শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে জানান তিনি এব্যাপারে ডাঃ কাশমিম সুজনকে একাধিকবার মোবাইল করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি। শৈলকুপা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মাহফুজা খাতুন বলেন, এব্যাপারে আমার কাছে কোন অভিযোগ আসেনি।তবে ডাঃ কাশমিম সুজনের অপারেশন করার কোন অধিকার নেই।